ওয়ানড়ের কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে সমন পাঠাল কেরল হাইকোর্ট।ওয়ানড়ের উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছিলেন তিনি। সিপিআই প্রার্থী সত্যন মকেরিকে ৪ লক্ষ ১০ হাজার ৯৩১ ভোটে হারিয়ে দেন কংগ্রেস নেত্রী। কিন্তু গত ডিসেম্বরে প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে কেরল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতা নব্য হরিদাস। তিনিও ওই নির্বাচনে একজন প্রার্থী ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচনী হলফনামায় নিজের সম্পত্তির সঠিক খতিয়ান দেননি প্রিয়াঙ্কা। নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছেন তিনি। কমিশনকে ভুল তথ্য দিয়্ছেন। তাই তাঁর সাংসদ পদ খারিজের দাবি জানান। সেই প্রেক্ষিতে এবার পদক্ষেপ করল আদালত। (আরও পড়ুন: পাকিস্তানের মান বাঁচাতে গিয়ে বিদেশি টিভিতে দেশের পোল খুললেন পাক সেনেটর)
আরও পড়ুন: বাজেটে সামগ্রিক ব্যয় ৭% কমিয়েছে পাকিস্তান, তবে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ল ২০%
২০২৪-র লোকসভা ভোটে রাহুল গান্ধী রায়বরেলি ও ওয়ানড়, দুটি আসন থেকেই ভোটে লড়েন। দুই আসনেই বিশাল ব্যবধানে জয় পান তিনি। মায়ের ছেড়ে যাওয়া আসন রায়বরেলি রেখে ওয়ানড় ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন রাহুল। আর দাদার ছেড়ে যাওয়া সেই কেন্দ্রে উপনির্বাচনে প্রার্থী হন প্রিয়াঙ্কা। ওই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী দেয় কংগ্রেসেরই ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গী সিপিআই। প্রিয়াঙ্কার মূল লড়াই ছিল বামপন্থী দলটির সঙ্গেই। শেষ পর্যন্ত বিপুল ভোটে জিতে যান তিনি।সিপিআই প্রার্থী সত্যেন মোকেরিকে পরাজিত করেন প্রিয়াঙ্কা। হরিদাস বিজেপি-র প্রার্থী ছিলেন ওয়েনাডে। তিনি তৃতীয় স্থান পান। সেই হরিদাসই প্রিয়াঙ্কার সাংসদ পদকে চ্যালেঞ্জ জানান। (আরও পড়ুন: লন্ডনে কেমন চলছে মার্কিন-চিন বাণিজ্য আলোচনা? বড় আপডেট মার্কিন বাণিজ্য সচিবের)
আরও পড়ুন: বিতর্কে জর্জরিত মহম্মদ ইউনুসের লন্ডন সফর, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার কোনও দাম নেই সেখানে
হরিদাসের আইনজীবী হরিকুমার জি নায়ার কেরল হাইকোর্টে জানিয়েছেন, প্রিয়াঙ্কার নির্বাচন খারিজ করার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। আইনজীবীর দাবি, নিজের এবং পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লুকিয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী। ভোটারদের অন্ধকারে রেখেছেন, বিভ্রান্ত করেছেন। অভিযোগ, ভুল তথ্য দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করেছেন প্রিয়াঙ্কা। স্বামী রবার্ট ভঢরার অস্থাবর সম্পত্তি ও বেশ কিছু বিনিয়োগের কথা জানাননি। তাই ওয়ানড়ের উপনির্বাচনকে ‘বাতিল’ করতে হবে। বিজেপি নেতার অভিযোগ, সম্পত্তির সম্পূর্ণ ঘোষণা না করে প্রিয়াঙ্কা ওই কেন্দ্রের ভোটারদের উপর অযাচিত প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। কংগ্রেস অবশ্য এহেন অভিযোগের সমালোচনা করেছে। আগামী আগস্টে এই মামলার শুনানি।
উল্লেখ্য, নির্বাচনী হলনামায় প্রিয়াঙ্কা জানান, তাঁর ১২ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে, অস্থাবর সম্পত্তি ৪.২৪ কোটির, স্থাবর সম্পত্তি ৭.৭৪ কোটির। সোনা রয়েছে ১.১৫ কোটি টাকার। দিল্লি ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন প্রিয়াঙ্কা। পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিপ্লোমা ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অফ সাডারল্যান্ড থেকে, দূরশিক্ষা মাধ্যমে। তাঁর মাথার উপর ১৫.৭৫ কোটির ঋণ রয়েছে। প্রিয়াঙ্কা আরও জানান, স্বামী রবার্ট বঢরার অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৩৭.৯ কোটি, স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ২৭.৬৪ কোটি টাকা।