সম্প্রতি ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন-কে নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। ভাইরাল হওয়া এক ভিডিয়োতে ফিনিশ প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দাম নাচতে দেখা গিয়েছিল। সেই ঘিরেই বিতর্ক তৈরি হয়। প্রশ্ন ওঠে, প্রধানমন্ত্রী কি মাদকের নেশায় এভাবে নাচছিলেন। সেই প্রশ্নের জবাব মিলল। সরকারের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়,‘শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে মাদকের কোনও চিহ্ন মেলেনি।’
যে ভিডিয়ো ঘিরে এত বিতর্ক, তাতে সানা মারিনকে বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করতে দেখা যায়। ৩৬ বছর বয়সি সানা মারিন বিবাহিত এবং তাঁর চার বছর বয়সি এক কন্যা সন্তান রয়েছে। তাঁর পার্টি করার সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই ফিনল্যান্ডের বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেছিলেন যে পার্টি করার সময় সানা মারিন মাদকাসক্ত ছিলেন। তবে সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন সানা মারিন। তিনি দাবি করেন, সরকারের প্রধানের পদে থাকলেও যেকোনও যুবতীর মতো তিনি তাঁর পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন।
আরও পড়ুন: ‘বিগ বস’ থেকে BJP, মৃত্যুর আগেই ‘DP’ বদল, ইনস্টাতে লাস্যময়ী ভিডিয়ো আপলোড সোনালির
কী দেখা গিয়েছে সেই ভাইরাল ভিডিয়োতে? তাতে দেখা যায় সানা মারিন তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করছেন। বন্ধুদের মধ্যে রয়েছেন ফিনল্যান্ডের বেশ কয়েক জন নামজাদা তারকাও। তাঁদের সঙ্গে গান গাইছেন এবং নাচছেন সানা। সমস্যা সেই নাচ বা গান নিয়ে নয়। তাঁর কাণ্ডকারখানা দেখে বিরোধীরা দাবি তুলেছেন,সানা মাদকাসক্ত এবং তাঁর মাদক পরীক্ষা করাতে হবে। যদিও সানা নিজে মাদকের কথা অস্বীকার করেছেন। বলেছেন,তিনি ওই সময়ে শুধুমাত্র মদ্যপান করেছিলেন। কিন্তু তাতেও বিতর্ক বিন্দুমাত্র কমেনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়ো সম্পর্ক তাঁর মত, ‘আমি নেচেছি,গান গেয়েছি এবং পার্টি করেছি। এর কোনওটাই বেআইনি নয়। আমায় কখনও মাদক সেবন করতেও দেখা যায়নি।’
আরও পড়ুন: অর্পিতার সঙ্গে ভাইরাল তৃণমূল বিধায়কের ভিডিয়ো, মুখ খুললেন যুবনেতা
৩৬ বছর বয়সি প্রধানমন্ত্রীর আরও বক্তব্য,‘আমার পরিবার আছে। কাজের জায়গা আছে। এছাড়া আমার নিজের মতো করে বন্ধুদের সঙ্গে কাটানোর মতো সময়ও আছে। আমার বয়সের অন্যদের যা যা থাকে,তার সবই আমার আছে। সেটাই স্বাভাবিক। আমি আগে যা ছিলাম এখনও তাই আছি, পরেও তাই থাকব।’