'পহেলগাঁও-কাণ্ডে পাকিস্তানের যোগসাজশ নিয়ে কারও কোনও ধন্দ নেই।' ভারতের প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গিয়ে পুত্র ঈশান থারুরের প্রশ্নের মোক্ষম জবাব দিলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পর সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান এবং পাকিস্তানের মদতের বিষয়টি উন্মোচিত করতে একাধিক দেশে গিয়েছে সংসদের সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল। ব্রাজিল-সহ একাধিক দেশ ঘুরে শশী থারুরের নেতৃত্বাধীন দল একেবারে শেষ গিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানেই কাউন্সিল অফ ফরেন রিলেশনসে একটি সাংবাদিক বৈঠকে নিজের ছেলেরই প্রশ্নের উত্তর দিলেন শশী থারুর। (আরও পড়ুন: রেপো রেট কমানোর হ্যাটট্রিক RBI-এর, সঙ্গে ক্যাশ রিজার্ভ রেশিওতেও কাটছাঁট)
ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক ঈশান থারুর। তিনি প্রশ্ন করেন, এই যে ভারতের প্রতিনিধি দল দেশে-দেশে ঘুরছে, তাঁদের কাছে কেউ পাক সন্ত্রাসের প্রমাণ চায়নি? এই যে বিভিন্ন দেশে তাঁরা ঘুরছেন, কোনও সরকারি প্রতিনিধি কি পহেলগাঁওতে ঘটে যাওয়া ঘৃণ্য ঘটনা যে পাকিস্তানেরই ঘটানো, তার প্রমাণ চেয়েছেন? পুত্রের প্রশ্ন শুনেই শশী বলেন, 'আমি খুব খুশি যে তুমি এই প্রশ্ন তুলেছ,ঈশান। ... খুব সহজভাবে বলতে গেলে, কারও কোনও সন্দেহ ছিল না এবং আমাদের কাছে প্রমাণ চাওয়া হয়নি। কিন্তু সংবাদমাধ্যম দুই বা তিন জায়গায় জিজ্ঞাসা করেছে। আমি খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, ভারত বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ ছাড়া এটা করত না।' (আরও পড়ুন: কিংফিশার ঋণ জালিয়াতি কাণ্ডে ঘুরিয়ে প্রণব মুখোপাধ্যায়কে দোষ দিলেন বিজয় মালিয়া?)
আরও পড়ুন: অ্যাকশন মোডে বেঙ্গালুরু পুলিশ, পদপিষ্ট কাণ্ডে গ্রেফতার RCB-র উচ্চপদস্থ কর্তা
কংগ্রেস সাংসদ মনে করিয়ে দেন, ওসামা বিন লাদেনকে পাকিস্তানেই একটি সেনা ক্যাম্পের কাছে একটি সেফ হাউসে পাওয়া গিয়েছিল। ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শশী বলেন, প্রথমত, পাকিস্তান গত ৩৭ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালিয়ে আসছে আর অস্বীকারও করে আসছে। তাছাড়া, মার্কিন নাগরিকরা নিশ্চয়ই ভুলে যায়নি যে ওসামা বিন লাদেন কোথায় ছিল। তাকে একটি পাকিস্তানে সেনা শিবিরের ঠিক পাশে একটি সেফ হাউসে পাওয়া যায়। মুম্বই হামলার ক্ষেত্রেও পাকিস্তান যুক্ত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছিল...কিন্তু ২০০৮ সালের মুম্বই হামলা, যেখানে জীবিত অবস্থায় পুলিশের হাতে ধরা পড়া জঙ্গি পাকিস্তানের নাগরিক বলে প্রমাণিত হয়।তাই আমরা জানি পাকিস্তানের আসল উদ্দেশ্য কী।' এরপরেই প্রমাণ হিসাবে শশী জানান, পহেলগাঁও কাণ্ডের দায় নেওয়া সন্ত্রাসবাদী সংগঠন টিআরএফ লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন। লস্করের ঘাঁটি যে পাকিস্তানেই, সে কথাও জানান তিনি। পাক যোগের তৃতীয় প্রমাণ হিসাবে কংগ্রেস সাংসদ নিহত জঙ্গিদের শেষকৃত্যে পাকিস্তানের সেনা আধিকারিকদের উপস্থিত থাকার ঘটনাটি তুলে ধরেন। (আরও পড়ুন: ট্রাম্প-মাস্ক দ্বন্দ্বে নয়া মোড়, যৌন কেলেঙ্কারি মামলার ফাইল নিয়ে ফাটল বোমা)
আরও পড়ুন: মাস্ক-ট্রাম্প দ্বন্দ্বে ১৪% পতন টেসলার শেয়ারে, একদিনে হাওয়া ১৫৩ বিলিয়ন ডলার
আরও পড়ুন: ভারতে ফিরবেন আর? প্রশ্ন শুনে যা জবাব দিলেন পলাতক ব্যবসায়ী বিজয় মালিয়া...
যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে কথা বলেছে ভারতের প্রতিনিধি দল। পহেলগাঁও হামলার সময় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট সস্ত্রীক ভারত সফরে এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে বৈঠকের পর কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট ভান্সের সঙ্গে দুর্দান্ত আলোচনা হয়েছে। তিনি পহেলগাঁও হামলার পরবর্তী সময়ে ভারতের অবস্থানকে সম্পূর্ণ সমর্থন করেছেন। শশী জানান, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকারকে মেনে নেন তিনি।