মাদক পাচার নতুন ঘটনা নয়। নিষেধাজ্ঞা, শাস্তির ভয় উপেক্ষা করেই বিভিন্ন রাজ্যে দিনের পর দিন চলে এই অপরাধমূলক কাজ। এবার মাদক পাচারের নয়া ‘সফিস্টিকেটেড’ চক্র ফাঁস করল এলিট অ্যাকশন গ্রুপ ফর ড্রাগ ল’ এনফোর্সমেন্ট (ঈগল)। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে হায়দরাবাদে। (আরও পড়ুন: ভারতের পড়শির ওপর ৩০% শুল্ক ট্রাম্পের, চিঠিতে ভুল নাম লিখলেন রাষ্ট্রপ্রধানের)
আরও পড়ুন: ঋতুস্রাব হচ্ছে কিনা তা দেখতে স্কুলে নগ্ন করা হল ছাত্রীদের, ধৃত প্রিন্সিপাল
হায়দরাবাদ পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৭ জুলাইয়ের অভিযানে ২৫ জন অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চক্রের মূল মাথা কোম্পালির বাসিন্দা, বছর ৩৪-র সূর্য আন্নামানেনি। ‘মালনাড়ু কিচেন’ নামে একটি রেস্তরাঁর মালিক সে। আন্নামানেনি একজন সুশিক্ষিত ইঞ্জিনিয়ারিং এবং এমবিএ স্নাতক কোম্পালি শহরের বাসিন্দা। তার টাটা স্করপিও গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ১০ গ্রাম কোকেন, ৩.২ গ্রাম ওজি কুশ (গাঁজা) এবং ১.৬ গ্রাম এক্সট্যাসি বড়ি পাওয়া গিয়েছে। তাকে আটক করার পর গোটা মাদক চক্র উন্মোচিত হয়েছে। (আরও পড়ুন: ভারতকে 'বিবেক ও নৈতিকতার' পাঠ পড়াতে এল ইউনুসের বাংলাদেশ)
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি হায়দরাবাদজুড়ে মাদক পাচার চক্রের খোঁজে বড় অভিযান চলছিল। এলিট অ্যাকশন গ্রুপ ফর ড্রাগ ল এনফোর্সমেন্ট অভিযানে এই চক্রের হদিশ পায়।এই অভিযানে ২৫ জন অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং একজন বিশিষ্ট হোটেল উদ্যোক্তা এবং আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই অভিযানেই উন্মোচিত হয় সংযোগ। নাইজেরিয়ান মাদক সরবরাহকারীদের সঙ্গে হায়দরাবাদের অভিজাত পাব, প্রযুক্তিবিদ, চিকিৎসক, রিয়েল এস্টেট এবং খাদ্য ও পানীয় ব্যবসার সংযোগের হদিশ মিলেছে।তদন্তকারী আধিকারিকরা সূর্য আন্নামানেনির টাটা স্করপিওতে তল্লাশি চালিয়ে মাদকদ্রব্যের হদিশ পান। যার মধ্যে রয়েছে ১০ গ্রাম কোকেন, ৩.২ গ্রাম ওজি কুশ (গাঁজা) এবং ১.৬ গ্রাম এক্সট্যাসি বড়ি। ওই কোকেন মহিলাদের হাই হিলস জুতোর ভিতরে লুকনো ছিল বলে জানা গিয়েছে। সূর্য দিল্লি থেকে কুরিয়ারের মাধ্যমে এগুলো পেয়েছিল বলে দাবি করেছে পুলিশ।
সূর্য আন্নামানেনি পুলিশকে জানিয়েছে, ভারতীয় পাচারকারীদের একটি নেটওয়ার্ক এবং দিল্লি, বেঙ্গালুরু এবং গোয়া থেকে পরিচালিত নাইজেরিয়ান পাচারকারীদের একটি দল উদ্যোক্তার নেটওয়ার্কের অংশ ছিল।নাইজেরিয়ান পাচারকারীদের নাম নিক, জেরি, ডেজমন্ড, স্ট্যানলি এবং প্রিন্স।সূর্য আরও জানিয়েছে, সে নিয়মিত একজন নাইজেরিয়ান নাগরিকের কাছে কোকেন এবং এমডিএমএর অর্ডার দিত এবং পাচারকারীর দেওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা দিত।এরপর মাদকদ্রব্যগুলি কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠানো হত, যাতে ধরা না পড়ে। তাই দৈনন্দিন গৃহস্থালির জিনিসপত্রের ভেতরে লুকিয়ে রাখা হত।একবার হাতে পাওয়ার পর মাদকগুলি ক্রেতাদের মধ্যে বিতরণ করার আগে অভিযুক্তের গাড়িতে অথবা তার রেস্তোরাঁয় রাখা করা হত।