রাঁচির পর এবার বাংলায় প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হল সারমেয়কে। বৃহস্পতিবার বারাসতের আরদেবক এলাকায় পাখি মারার বন্দুক দিয়ে ওই কুকুরকে হত্যার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নির্মমভাবে কুকুরকে হত্যার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক সহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ কুকুরের দেহ ময়নাতদন্ত করা হবে।
আরও পড়ুন: পথকুকুরকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, নৃশংস ঘটনা মুম্বইয়ে, ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম সঞ্জীব ঘোষ এবং শিশির রায়। পুলিশ সূত্রের খবর, পাখি মারার বন্দুকটি সঞ্জীবের। সেই বন্দুক দিয়ে শিশির কুকুরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। শুধু তাই নয়, এই বন্দুক নিয়ে সঞ্জীবের নাবালক ছেলে রামনবমীর মিছিলে সামিল হয়েছিল বলেও অভিযোগ। শিশিরকে গ্রেফতারের পাশাপাশি নথি ছাড়া বন্দুক রাখার জন্য সঞ্জীবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশির কুকুরকে গুলি মারার পর চিৎকার করতে করতে করতে একসময় কুকুরটি নিস্তেজ হয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা দুজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এমন ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী। তাঁদের অভিযোগ, তাঁরা প্রায়ই বন্দুক দিয়ে পাখি শিকার করে বেড়ায় এলাকায়। এ নিয়ে অতিতে তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। কিন্তু, তারপরেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এ দিনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, তাঁরা যেভাবে অসাবধানতার সঙ্গে গুলি চালায় তাতে যেকোনও দিন দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। একদিন এক কৃষকের কান ঘেঁষে গুলি বেরিয়ে গিয়েছিল বলেও অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সঞ্জীবের বাড়িতে দুটি বন্দুক রয়েছে। তাঁর নাবালক ছেলেও পাখি শিকার করে বেড়ায় ওই বন্দুক দিয়ে। এদিনের ঘটনায় শিশিরের সঙ্গে সঞ্জীবের নাবালক ছেলেও ছিলেন। স্থানীয়রা শিশিরকে ধরে ফেললেও সঞ্জীবের নাবালক ছেলে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। আরও অভিযোগ ওঠে, ঘটনার সময় তাঁরা মত্ত অবস্থায় ছিলেন। তবে সঞ্জীবের দাবি, ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। বহিরাগত দুজন এসে তাঁর বাড়িতে গিয়ে বন্দুক নিয়ে যায়। এবিষয়ে স্থানীয় ক্লাবের দাবি, আগেও তাঁদের বন্দুকের গুলিতে আরও কয়েকজন অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন। অভিযুক্তদের জানিয়েছেন স্থানীয়রা।