পরবর্তী খবর
PM Modi:'রামায়ণ থাই জনগণের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ!' ভারতীয় সংস্কৃতিকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী
1 মিনিটে পড়ুন . Updated: 04 Apr 2025, 08:55 AM IST
Share 
বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > PM Modi:'রামায়ণ থাই জনগণের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ!' ভারতীয় সংস্কৃতিকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী
Share রামায়ণের গল্প থাই জনগণের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। থাইল্যান্ডে গিয়ে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্ককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পি সিনেওয়াত্রার সঙ্গে প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকের পাশাপাশিই আরও এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর মুখোমুখি হতে পারেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহাম্মদ ইউনুস। থাইল্যান্ডে পৌঁছনোর পর প্রধানমন্ত্রী মোদীকে স্বাগত জানান প্রবাসী ভারতীয়রা। এই আপ্যায়নে মুগ্ধ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীও। তিনি এক্স বার্তায় জানিয়েছেন, 'থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্ককে পৌঁছেছি। আসন্ন সরকারি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ এবং ভারত ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতার বন্ধন আরও জোরদার করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।'
আরও পড়ুন-PM Modi: সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল প্রধানমন্ত্রীর জিবলি! বিশেষ ইমোজি ওপেনএআই সিইওর
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পি সিনেওয়াত্রার মধ্যে ব্যাঙ্ককে প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক হয়। পরে মোদী ও সিনেওয়াত্রার উপস্থিতিতে ভারত এবংও থাইল্যান্ডের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি বিনিময় হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, ভারত ও থাইল্যান্ডের শতাব্দী প্রাচীন সম্পর্ক আমাদের গভীর সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক বন্ধনের মাধ্যমে সংযুক্ত। বৌদ্ধধর্মের প্রসার আমাদের জনগণকে সংযুক্ত করেছে। আয়ুথায়া থেকে নালন্দা পর্যন্ত বুদ্ধিজীবীদের আদান-প্রদান হয়েছে।' মোদী বলেন, 'রামায়ণের গল্প থাই জনগণের জীবনের অংশ। আমার সফরের সময়, ১৮ শতকের রামায়ণ ম্যুরাল চিত্রের উপর ভিত্তি করে একটি স্মারক ডাকটিকিট জারি করার জন্য আমি থাইল্যান্ড সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ।' তাঁর কথায়, ভারতের অ্যাক্ট ইস্ট নীতিতে থাইল্যান্ডের একটি বিশেষ স্থান রয়েছে।ভারতের ইন্দো-প্যাসিফিক দৃষ্টিভঙ্গিতেও থাইল্যান্ডের একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। 'আমরা আমাদের সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্বে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মধ্যে কৌশলগত সংলাপ স্থাপনের বিষয়েও আলোচনা করেছি।'
এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ উপহার দেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পি সিনেওয়াত্রা। থাইল্যান্ডের রাজা ভূমিবল আদুল্যাদেজ (নবম রাম) এবং রানী সিরিকিতের ৭০ বছরের রাজত্বের স্মরণে ২০১৬ সালে থাই সরকার এটি প্রকাশ করে। প্রধানমন্ত্রী মোদী যেখানেই যান, ভারতের ধর্মীয় ঐতিহ্যের প্রদর্শনী ঘটে সেখানেই। নিজের প্রায় সব বিদেশ সফরকে যেন ভারতীয় ঐতিহ্যের প্রদর্শনীতে পরিণত করেছেন তিনি। এবারেও তার অন্যথা হয়নি। থাইল্যান্ডে মোদীর সম্মানার্থে প্রদর্শিত হয় ‘রামাকিয়েন’।যাকে থাই সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত রামায়ণ বললেও ভুল বলা হয় না। রামাকিয়েন থাইল্যান্ডের জাতীয় মহাকাব্য এবং থাই সাহিত্যের একটি অংশ।
আরও পড়ুন-PM Modi: সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল প্রধানমন্ত্রীর জিবলি! বিশেষ ইমোজি ওপেনএআই সিইওর
প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই সফর বিমসটেকের সদস্য দেশগুলির মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও মজবুত করবে বলে আশাবাদী কেন্দ্র। বিমসটেক হল 'বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন’। এই আন্তর্জাতিক সংস্থাটি দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিকে সংযুক্ত করে। এই সংস্থায় বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন সাতটি দেশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার এবং থাইল্যান্ড।
