বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Target killing of Hindu leaders: হিন্দু নেতাদের টার্গেট করে খুনের ঘটনা জঙ্গি হামলা নাও হতে পারে- মাদ্রাজ হাইকোর্ট
পরবর্তী খবর
Target killing of Hindu leaders: হিন্দু নেতাদের টার্গেট করে খুনের ঘটনা জঙ্গি হামলা নাও হতে পারে- মাদ্রাজ হাইকোর্ট
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 14 Dec 2023, 03:29 PM ISTAyan Das
বেআইনি কার্যকলাপ বিরোধী আইনের (UAPA) ১৫ নম্বর ধারায় কোনও ব্যক্তি সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম করেছে, সেটা কীভাবনে চিহ্নিত করা যাবে, সেই ব্যাখ্যা দিয়েছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। আর সেই প্রেক্ষিতেই হাইকোর্ট বলেছে যে হিন্দু নেতাদের টার্গেট করে খুনের ঘটনা জঙ্গি হামলা নাও হতে পারে।
হিন্দু নেতাদের টার্গেট করে খুনের ঘটনা জঙ্গি হামলা নাও হতে পারে, পর্যবেক্ষণ মাদ্রাজ হাইকোর্টের। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে সন্তোষ কুমার/হিন্দুস্তান টাইমস)
হিন্দু ধর্মের নেতাদের নিশানা করে হত্যার ঘটনাকে কি সন্ত্রাসমূলক কাজ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়? তা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ আছে। এমনই মন্তব্য করল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। বুধবার যে মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সেই মন্তব্য করেছে, সেই মামলায় বেআইনি কার্যকলাপ বিরোধী আইনের (UAPA) ধারায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। শর্তসাপেক্ষে তাকে জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট। ডিভিশন বেঞ্চ মন্তব্য করেছে, যে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তা থেকে বোঝা গিয়েছে নির্দিষ্ট কয়েকজন ধর্মীয় নেতার উপর হামলার ছক তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু সেটা কীভাবে বেআইনি কার্যকলাপ বিরোধী আইনের ১৫ নম্বর ধারার আওতায় সন্ত্রাসমূলক কাজ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়, তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিহ্নিত করতে হবে।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে হাইকোর্ট জানিয়েছে যে বেআইনি কার্যকলাপ বিরোধী আইনের ১৫ নম্বর ধারার আওতায় কেউ সন্ত্রাসমূলক কাজকর্মে জড়িত আছে, তখনই বলা যায় যখন এমন কোনও কাজ করা হবে, যা ভারতের অখণ্ডতা, সুরক্ষা, আর্থিক সুরক্ষা বা সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নচিহ্নের মুখে ফেলে দেবে অথবা ভারত বা বিদেশে কোনও ব্যক্তি বা কোনও কোনও শ্রেণির মানুষের উপর সন্ত্রাসবাদী হামলা চালাবে বা সন্ত্রাসবাদী হামলার উদ্দেশ্য নিয়ে কোনও কাজ করবে।
আসিফ মুস্তাহিন নামে এক ব্যক্তির জামিনের মামলায় সেই মন্তব্য করেছে হাইকোর্ট। যে ব্যক্তিকে ২০২২ সালের ২৬ জুলাই বেআইনি কার্যকলাপ বিরোধী আইনের (UAPA) ধারায় তাকে গ্রেফতার করেছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। নিম্ন আদালত, হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে তার জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছিল। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছিল যে আইসিসে যোগ দিতে চাইত আসিফ। সে এক আইসিস জঙ্গির ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। তারা দু'জনে মিলে বিজেপি এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের হিন্দু নেতাদের খুনের ছক কষেছিল।
যদিও হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এমন কোনও প্রমাণ নেই, যা থেকে ইঙ্গিত মেলে যে আইসিসে যোগ দিয়েছিল আসিফ। আর দ্বিতীয় অভিযুক্ত যে আইসিসের সদস্য ছিল, সেটাও স্পষ্ট নয়। তারইমধ্যে আসিফকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটে নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে হবে। ইরোদেই থাকতে হবে আসিফকে।