ছিল 'ইন্টেল'র তথ্য, ছত্তিশগড়ে ফোর্সের এনকাউন্টারে নিহত শীর্ষ মাও নেতা সুধাকর, এলাকায় আর কারা?

বুধবার ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলার ইন্দ্রাবতী জাতীয় উদ্যান এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে সিপিআই (মাওবাদী) এর একজন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। ছত্তিশগড়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সুধাকরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে নাম্বালা কেশব রাও, যিনি বাসভরাজু নামেও পরিচিত, নিহত হওয়ার এক মাস পর এই ঘটনা ঘটল। জেলা রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি), স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) এবং এলিট কোবরা ইউনিটের একটি যৌথ দল এই অভিযান পরিচালনা করে, এই অঞ্চলে সিনিয়র মাওবাদী নেতাদের গতিবিধি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের (ইন্টেলিজেন্স) ভিত্তিতে। এই তথ্য বস্তার পুলিশের জারি করা এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে। কর্মকর্তাদের মতে, গোয়েন্দা তথ্যে (ইন্টেলিজেন্স) সুধাকর ছাড়াও তেলঙ্গানা রাজ্য কমিটির সদস্য বান্দি প্রকাশ এবং দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটির সদস্য পাপ্পা রাও সহ এলাকায় একাধিক উচ্চপদস্থ মাওবাদী ক্যাডারের উপস্থিতির ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। ছত্তিশগড় পুলিশ কর্মকর্তা দাবি করেন, ‘দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে, ইন্দ্রাবতী জাতীয় উদ্যানের জঙ্গলঘেরা অঞ্চলের গভীরে একটি সু-সমন্বিত অভিযান শুরু করা হয়, যা মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।’ গুলি বিনিময়ের সময়, নিরাপত্তা বাহিনী গৌতম ওরফে সুধাকরকে হত্যা করে, যিনি দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন এবং যিনি ভারী পুরস্কারের মালিক ছিলেন এবং মধ্য ভারতে মাওবাদী আন্দোলনের অন্যতম প্রধান আদর্শবাদী এবং কৌশলবিদ হিসেবে বিবেচিত ছিলেন। তাঁর মাথার ওপর ৪০ লাখের পুরস্কার ঘোষিত ছিল। কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘জঙ্গলে চিরুনি অভিযান চলছে,’ প্রাথমিক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে অন্যান্য ক্যাডাররাও আহত বা নিহত হতে পারেন, যদিও এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণের অপেক্ষায় রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী সংঘর্ষস্থল থেকে অস্ত্র, বিস্ফোরক এবং মাওবাদী সংক্রান্ত লেখাপত্র উদ্ধার করেছে।