বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > নদীতে ভেঙে পড়ল সেতু, পুনেতে বড় বিপর্যয়, বাড়ল মৃত্যুর সংখ্যা, এসেছে বড় আপডেট
পরবর্তী খবর
মহারাষ্ট্রের পুনে জেলায় ইন্দ্রায়ণী নদীর ওপর একটি পুরনো লোহার সেতু ভেঙে অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ৩২ জন আহত হয়েছেন, ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মহারাষ্ট্রের মাভাল তহসিলের কুন্দমালা এলাকায় বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। বহু মানুষ ভিড় করেছিলেন সেখানে। আধিকারিকদের মতে, বিপুল সংখ্যক পর্যটক সেতুর উপর জড়ো হয়েছিলেন যখন হঠাৎ সেতুটি ভেঙে যায়, যার ফলে অনেকে নদীতে পড়ে যায়। এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে পুনের কুণ্ডমালা এলাকায় ইন্দ্রায়ণী নদীর উপর একটি পুরনো লোহার সেতু ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ৩২ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) সহ উদ্ধারকারী দলগুলি নদীতে নিখোঁজদের সন্ধানের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তল্লাশি অভিযান এগিয়ে যাওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী 'এক্স'-এ একটি পোস্টে লিখেছেন, 'পুনে জেলার তালেগাঁওয়ের কাছে ইন্দোরিতে ইন্দ্রায়ণী নদীর উপর একটি সেতু ভেঙে পড়ার মর্মান্তিক ঘটনার খবর শুনে আমি গভীরভাবে দুঃখ পেয়েছি। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, এই ঘটনায় দু'জনের মৃত্যু হয়েছে।
‘ইন্দ্রায়ণী নদীর উপর লোহার সেতুটি ৩০ বছরের পুরনো। সেতুতে প্রায় ১০০ জন মানুষ উপস্থিত ছিলেন। মাভালের বিধায়ক সুনীল শেলকে বলেন, কয়েকজন পৌঁছতে সক্ষম হয়। তালেগাঁও দাভাদে থানা থেকে উদ্ধারকারী দলগুলি প্রথমে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল, তারপরে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) দুটি দল বর্তমানে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। এনসিপি নেত্রী সুপ্রিয়া সুলে এই মর্মান্তিক ঘটনাকে "অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, 'সেতুতে থাকা কিছু মানুষ ভেসে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি যে এই সমস্ত মানুষরা নিরাপদে থাকুন। আমি এই ঘটনা নিয়ে পুনের জেলা কালেক্টরের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তিনি প্রয়োজনীয় সব ধরনের সাহায্য পাঠাচ্ছেন।
ভেঙে পড়া সেতুটি ইন্দ্রায়ণী নদীর উপর একটি পুরনো বাঁধের কাছে অবস্থিত ছিল - এটি এমন একটি জায়গা যা পর্যটকদের কাছে বেশ আকর্ষণীয়। বয়সজনিত কারণে এবং মরসুমি জলের স্তর বৃদ্ধির কারণে এই ব্রিজটি বেশ চাপের মধ্যে ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।