ভারত সরকার আগেই বলেছিল। এইচএমপিভি নিয়ে এবার কার্যত একই কথা বলে বিশ্ববাসীকে আশ্বস্ত করতে চাইল হু (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা)।
বুধবারই তাদের তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, সম্প্রতি চিনে মরশুমি ফ্লু, রাইনোভাইরাস, আরএসভি এবং এইচএমপিভি ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে। কিন্তু, তাতে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। কারণ, ঋতুবদলের সময় এগুলি খুবই সাধারণ ঘটনা। যা প্রতি বছরই ঘটে।
হু-এর মুখপাত্র ডা. মার্গারেট হ্যারিস এদিন জেনেভায় একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, এবছর 'শীতের মরশুমে চিনে শ্বাসকষ্টজনিত সংক্রমণের মাত্রা স্বাভাবিক সীমার মধ্যেই রয়েছে'।
এর পাশাপাশি ডা. হ্যারিস বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গিয়েছে, গত বছরের তুলনায় এবছর আক্রান্তদের নিরাময়ের জন্য তাঁদের অনেক কম সংখ্য়ায় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে এবং এখনও পর্যন্ত কোনও জরুরি ঘোষণা বা ব্যবস্থাপনা শুরু করতে হয়নি।
'চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন'-এর মতে, অন্য়ান্য বছর শীতের সময় যেমন দেশে সংক্রমণ বাড়ে, এবারও তেমনটাই হয়েছে। মরশুমি ফ্লু-এ আক্রান্ত হওয়াটা এই সময়ে খুবই সাধারণ একটি ঘটনা। যেটা এবারও ঘটবে বলে মনে করা হয়েছিল। তেমনটাই ঘটেছে। চিনের এই মতামতই এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে উল্লেখ করেন ডা. হ্যারিস।
তিনি আরও মনে করিয়ে দেন, এইচএমপিভি কোনও নতুন বা অচেনা ভাইরাস নয়। বহু বছর আগেই বিশ্ববাসীর এই ভাইরাসের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। ডা. হ্য়ারিস এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন, ২০০১ সালে এই ভাইরাসটিকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এবং এটি 'দীর্ঘ সময় ধরে মানবসমাজের সঙ্গে রয়েছে।'
হু-এর মুখপাত্র আরও জানান, প্রতি বছর শীতের পাশাপাশি বসন্ত ঋতুতেও এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটে। সাধারণ সর্দি কাশিতে যে ধরনের উপসর্গ দেখা যায়, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও তেমনটাই ঘটে।
তবে, এটা ঠিক, যে সমস্ত ভাইরাসের জন্য সর্দি কাশি হয়, সেইসব ভাইরাসের মতোই এই ভাইরাসটিরও প্রভাব কোনও কোনও সময়ে প্রকট হতে পারে। তাতে আক্রান্ত ব্যক্তি কিছুটা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। কিন্তু, এটা একেবারেই ব্য়ক্তি বিশেষের ক্ষেত্রে ঘটে। সাধারণত, যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁদেরই এই ধরনের সমস্যা হয়।
এদিনের এই বৈঠকে সাংবাদিকরা ডা. হ্যারিসের কাছে নির্দিষ্টভাবে জানতে চান, এইচএমপিভি-তে আক্রান্ত হলে মৃত্যুর সম্ভাবনা কতটা? জবাবে তিনি জানান, সেই সম্ভাবনা 'একেবারেই নগণ্য'।