রশিদ খান নিজের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে প্রাক্তন ভারতীয় অলরাউন্ডার যুবরাজ সিংয়ের রেকর্ডের কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তবে যুবির রেকর্ড ভাঙতে পারেননি রশিদ খান। এটি আইপিএলের ইতিহাসে ৭ তম বারের মতো ঘটেছে যখন কোনও খেলোয়াড় চার উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি হাফ সেঞ্চুরিও করেছেন।
অর্ধশতরান করার পরে রশিদ খানের সেলিব্রেশন (ছবি-এএফপি)
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ ২০২৩ এর ৫৭ তম ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মুখোমুখি হয়েছিল গুজরাট টাইটানস। এই ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স টেবিলের শীর্ষস্থানীয় গুজরাট দলকে ২৭ রানে পরাজিত করেছে। মুম্বইয়ের এই জয়ের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল সূর্যকুমার যাদবের। এই ম্যাচেই নিজের প্রথম আইপিএল সেঞ্চুরি করেন সূর্য। তিনি ৪৯ বলে ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসের ভিত্তিতে মুম্বই দল গুজরাটের সামনে ৫ উইকেট হারিয়ে ২১৮ রান তোলে। দ্বিতীয় ইনিংসে গুজরাট টাইটানস দল ৮ উইকেটে ১৯১ রান করতে পারে এবং মুম্বই সহজেই ম্যাচটি জিতে যায়।
গুজরাট হয়তো এই ম্যাচ হেরেছে, কিন্তু তাদের দলের রশিদ খান নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে সকলের মন জয় করেছেন। গুজরাট টাইটানসের হয়ে প্রথমে বোলিং করা রশিদ খান প্রথম ইনিংসে নিজের চার ওভার বল করে ৩০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। ম্যাচের সময় তিনি ছিলেন সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলার। লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ব্যাট হাতে ঐতিহাসিক ইনিংস খেলেন রশিদ খান। ৮ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৩২ বলে ৭৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন রশিদ খান। এই সময়ে তিনি মারেন ৩টি চার ও ১০টি ছক্কা। এই সময়ে রশিদ খানও নিজের নামে একটি রেকর্ড গড়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার তারকা অলরাউন্ডার প্যাট কামিন্সের রেকর্ড ভেঙ্গে আইপিএলের ইতিহাসে আট নম্বরে খেলতে নেমে সবচেয়ে বড় ইনিংস খেলেন রশিদ খান।
আইপিএলে ৮ নম্বরে সবচেয়ে বড় ইনিংস খেলা ক্রিকেটারদের তালিকা-
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে রশিদ খানের ইনিংস কাজ করেনি এবং তাঁর দল ২৭ রানে ম্যাচটি হেরে যায়। মুম্বই-এর কাছে এদিনের হারের ফলে এখনও গুজরাট টাইটানসের নামের পাশে প্লে-অফে খেলার যোগ্যতা অর্জনের ‘Q’ চিহ্ন দেখা যায়নি। এই ম্যাচে রশিদ খানরা জিতলে সহজেই প্লে অফের যোগ্যতা অর্জন করতে পারত। কিন্তু তা হয়নি। এই ম্যাচের পর প্লে অফের দৌড় আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। শুধু তাই নয়, প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিতে শীর্ষ দলগুলোর মধ্যে চলছে প্রতিযোগিতা। লিগের চলতি মরশুমের ৫৭তম ম্যাচ খেলার পরও কোনও দল এখনও প্লে-অফে উঠতে পারেনি। আইপিএলের ইতিহাসে এমন ঘটনা খুব কমই ঘটেছে। গুজরাট টাইটানস বর্তমানে ১২ ম্যাচে ৮ জিতে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে, তবে CSK এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দল আগামী দিনে গুজরাটকে প্রথম স্থান থেকে সরিয়ে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, রশিদ খান নিজের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে প্রাক্তন ভারতীয় অলরাউন্ডার যুবরাজ সিংয়ের রেকর্ডের কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তবে যুবির রেকর্ড ভাঙতে পারেননি রশিদ খান। এটি আইপিএলের ইতিহাসে ৭ তম বারের মতো ঘটেছে যখন কোনও খেলোয়াড় চার উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি হাফ সেঞ্চুরিও করেছেন। এই তালিকায় দুইবার যুজবরাজ সিংয়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১১ সালে দিল্লি এবং ২০১৪ সালে রাজস্থানের বিরুদ্ধে এমন কীর্তি করেছিলেন যুবরাজ সিং। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে তিনি ৪ উইকেট নিয়ে ৮৩ রানের ইনিংস খেলেন। মাত্র ৫ রানের জন্য যুবরাজের রেকর্ড ভাঙতে পারেননি রশিদ খান।
দেখে নিন আইপিএল-এ চার উইকেট নেওয়ার পরে পঞ্চাশ করা ক্রিকেটারদের তালিকা
যুবরাজ সিং (RCB)- ৮৩ রান এবং ৩৫/৪ উইকেট ২০১৪ RCB vs RR
যুবরাজ সিং (PWI)- ৬৬ রান এবং ২৯/৪ উইকেট ২০১১ PWI vs DC
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।