পর্তুগিজ-ভাষার এই গেম। এতে গেমাররা ক্রীতদাসের ব্যবসা করতে এবং ভার্চুয়াল সম্পদ সংগ্রহ করতে পারেন। শুধু তাই নয়, এই গেমের স্ট্র্যাটেজিই হল দাসপ্রথা রোধ করার কৌশল বের করা। এই গেমে কোনও দাসকে যত নির্যাতন করা হবে, তত বেশি করে পয়েন্ট বা বোনাস মিলবে।
ফাইল ছবি : রয়টার্স
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের প্রতিবাদের ঝড়। আর তারপর প্লে স্টোর থেকে 'Slavery Simulator' গেমটি সরিয়ে দিল Google। এই গেমে ভার্চুয়ালি ক্রীতদাস কেনা বেচা করা যায়।
পর্তুগিজ-ভাষার এই গেম। এতে গেমাররা ক্রীতদাসের ব্যবসা করতে এবং ভার্চুয়াল সম্পদ সংগ্রহ করতে পারেন। শুধু তাই নয়, এই গেমের স্ট্র্যাটেজিই হল দাসপ্রথা রোধ করার কৌশল বের করা। এই গেমে কোনও দাসকে যত নির্যাতন করা হবে, তত বেশি করে পয়েন্ট বা বোনাস মিলবে।
আজব বিষয় হল, এই অ্যাপের নির্মাতার জানিয়েছে, তারা নিজেরা 'সব ধরনের দাসত্বের' তীব্র নিন্দা করছে। গেমটি 'শুধুমাত্র বিনোদনের উদ্দেশ্যে' বলে দাবি করে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করে সংস্থা।
প্লেস্টোর থেকে অ্যাপ তুলে দেওযার পরে, গুগলও একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। তাতে তারা জানিয়েছে, 'যে যে অ্যাপ্লিকেশনে ত্বকের রঙ বা জাতিগত ভিন্নতা, সহিংস মনোভাবের প্রচার করা হয়, অথবা ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রচার করে, তাদের এই প্ল্যাটফর্মে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে না।'
গুগল ব্যবহারকারীদের এই জাতীয় আপত্তিকর কনটেন্ট রিপোর্ট করার অনুরোধ করেছে।
ব্রাজিলের জাতি সাম্য মন্ত্রক জানিয়েছে, তারা গুগলকে 'ঘৃণামূলক বার্তা, অসহিষ্ণুতা এবং বর্ণবাদ থাকা কনটেন্ট ফিল্টার করার এবং সেগুলির নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ছড়িয়ে পড়া রোধ করার অনুরোধ জানিয়েছে।'
১৮৮৮ সালে ব্রাজিল থেকে দাসপ্রথা বিলুপ্ত হয়। ব্রাজিলই দক্ষিণ আমেরিকার শেষ দেশস যেখান থেকে দাসপ্রথা দূরীকরণ করা হয়েছিল। ব্রাজিলে বর্ণবাদ এখনও একটি বড় সমস্যা। সেদেশের জনসংখ্যার ৫৬ শতাংশেরও বেশি আফ্রো-ব্রাজিলিয়ান।