ফুটবল বিশ্বকাপের সম্প্রচার স্বত্বের পিছনে রিলায়েন্স গোষ্ঠী কম বিনিয়োগ করেনি। ২০২১ সালে রিলায়েন্সের ভায়াকম ১৮ প্রায় ৪৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে ফিফার থেকে সম্প্রচার স্বত্ব কেনে। এরপর সেই সম্প্রচারের পরিকাঠামো, অ্যাপের সফটওয়্যার, ইউআই-এর আধুনিকিকরণ ইত্যাদিতেও কোটি কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে।
ফাইল ছবি: রয়টার্স
কাতারের ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ দেখার জন্য রাতারাতি JioCinema-র ডাউনলোডের সংখ্যা চরমে ওঠে। খেলা সম্প্রচারের জন্য ডিজিটাল মাধ্যম কতটা মুনাফাজনক হতে পারে, তা-ই যেন আরও একবার প্রমাণ করল জিও সিনেমা। বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখতে কতজন জিও সিনেমা খুলেছিলেন জানেন? ৩.২ কোটি!
হ্যাঁ, এই বিপুল পরিমাণ দর্শকই মেসি-এমবাপের লড়াই দেখতে জিওসিনেমা খুলে বসেছিলেন। বিশ্বকাপের সময়ে টানা কয়েক সপ্তাহ অ্যাপেল ও অ্যান্ড্রয়েড স্টোরের সেরা অ্যাপের তালিকায় ছিল জিওসিনেমা।
ফুটবল বিশ্বকাপের সম্প্রচার স্বত্বের পিছনে রিলায়েন্স গোষ্ঠী কম বিনিয়োগ করেনি। ২০২১ সালে রিলায়েন্সের ভায়াকম ১৮ প্রায় ৪৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে ফিফার থেকে সম্প্রচার স্বত্ব কেনে। এরপর সেই সম্প্রচারের পরিকাঠামো, অ্যাপের সফটওয়্যার, ইউআই-এর আধুনিকিকরণ ইত্যাদিতেও কোটি কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে।
নতুন চ্যানেল স্পোর্টস ১৮-এর মাধ্যমে টিভিতে এবং জিও সিনেমার মাধ্যমে খেলা সম্প্রচার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। JioCinema বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। কারণ সবাই ভেবেছিলেন রিলায়েন্সের অধিনস্থ Voot-এই হয় তো খেলা সম্প্রচার করা হবে। কিন্তু পরে জিওসিনেমাতেই খেলা সম্প্রচারের ঘোষণা করা হয়।
এর ফলে আলাদা করে কোনও সাবস্ক্রিপশন চার্জের গল্পও উঠে যায়। যে কোনও নম্বর থেকে লগ ইন করে খেলা দেখ! বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আম্বানির সংস্থা ভাল করেই বুঝেছিল যে, ভারতে সাবস্ক্রিপশন সিস্টেমের মাধ্যমে সকল দর্শকদের কাছে পৌঁছনো যাবে না। তাই সম্পূর্ণ বিনামূল্যে খেলা দেখার সুযোগ করে দিয়েই বাজিমাত করেছে জিওসিনেমা। অন্যদিকে এই বিপুল দর্শক সংখ্যাকে কাজে লাগিয়ে খেলার মাঝে বিজ্ঞাপন থেকেই যথেষ্ট আয় করে নিয়েছে তারা।