বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্রে, বুধকে গ্রহের রাজপুত্র বলা হয়েছে। বুধ এমন একটি গ্রহ যার মানব জীবনের ব্যবহারিক দিকগুলির সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের বুদ্ধিমত্তা, কথা, ব্যবসা, শিক্ষা এবং যোগাযোগের উপর এর গভীর প্রভাব রয়েছে। যদি এই গ্রহটি কুণ্ডলীর দিক থেকে দুর্বল হয়ে পড়ে, তাহলে জীবনে নানা ধরণের সমস্যা আসতে শুরু করে, যেমন মানসিক বিভ্রান্তি, ব্যবসায় ক্ষতি, পড়াশোনায় বাধা, সম্পর্কের ক্ষেত্রে অস্বস্তি ইত্যাদি। আসুন জেনে নিই বুধ গ্রহ দুর্বল হওয়ার লক্ষণগুলি কী কী এবং বুধবারে ৫টি কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা যা তাকে শক্তিশালী করে।
সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিভ্রান্তি: বুধ দুর্বল হলে চিন্তাভাবনা এবং বোঝার ক্ষমতা প্রভাবিত হয়। ব্যক্তি ছোট ছোট বিষয়ে বিভ্রান্ত হন এবং সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা হয়।
বাক্য সম্পর্কিত সমস্যা: তোতলানো বা কথা বলার সময় সঠিকভাবে শব্দ উচ্চারণ করতে না পারাও দুর্বল বুধের লক্ষণ।
ত্বক ও স্নায়ুর সমস্যা: ত্বকের অ্যালার্জি, হাত-পা অসাড় হয়ে যাওয়া বা স্নায়ুতে টান পড়ার মতো সমস্যা হতে পারে।
ব্যবসায় ক্ষতি: বিশেষ করে যদি কারও ব্যবসা লেখালেখি, শিক্ষা বা যোগাযোগের উপর ভিত্তি করে হয়, তাহলে ক্ষতিই হয়।
নারী আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে তিক্ততা: বুধ গ্রহ বোন, খালা এবং মেয়ের মতো সম্পর্কের সঙ্গে সম্পর্কিত। দুর্বল বুধের কারণে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে পারে।
বুধবার এই ৫টি কার্যকর প্রতিকার করুন
১. গণেশের পুজো করুন
বুধকে শক্তিশালী করার জন্য, বুধবার গণেশের বিশেষ পুজো করুন। তাকে দূর্বা, ফুল এবং মোদক অর্পণ করুন। সিদ্ধি বুদ্ধি প্রদায়ক ভগবান গণেশের আশীর্বাদে বুধের অবস্থার উন্নতি হয়।
২. সবুজ রঙ ব্যবহার করুন
বুধের প্রিয় রঙ হল সবুজ। বুধবার সবুজ পোশাক পরুন, সবুজ চুড়ি বা রুমাল রাখুন। বাড়িতে সবুজ গাছপালা লাগানো বা সবুজ শাকসবজি খাওয়াও উপকারী।
৩. বুধ মন্ত্র জপ করুন
বুধবার সকালে স্নান করুন এবং ওঁ বম বুধায় নমঃ মন্ত্র ১০৮ বার জপ করুন। এই মন্ত্র বুধকে খুশি করে এবং বুদ্ধি, যুক্তি এবং যোগাযোগ উন্নত করে।
৪. ছোলা এবং সবুজ জিনিসপত্র দান করুন
দরিদ্রদের ছোলা, সবুজ কাপড় বা সবুজ শাকসবজি দান করুন। আপনি গোয়ালঘরে সবুজ পশুখাদ্যও দিতে পারেন। এই প্রতিকার বুধের দোষ কমায়।
৫. পন্না রত্ন পরিধান করুন
বুধ গ্রহকে শক্তিশালী করার জন্য, পন্না, যা ইংরেজিতে পান্না নামেও পরিচিত, পরা উপকারী বলে মনে করা হয়। বুধবার শুভ সময়ে এই সবুজ রত্নটি পরা উচিত, তবে প্রথমে একজন যোগ্য জ্যোতিষীর সঙ্গে পরামর্শ করুন।