গজকেশরী যোগ প্রধানত বৃহস্পতি এবং চন্দ্রের বিশেষ অবস্থানের কারণে গঠিত হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, যখন দেবগুরু বৃহস্পতি চন্দ্র থেকে বা চন্দ্রের সাপেক্ষে কেন্দ্র স্থানে (১ম, ৪র্থ, ৭ম অথবা ১০ম ঘর) অবস্থান করে, তখন গজকেশরী যোগ সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ চন্দ্র যে রাশিতে আছে, সেই রাশি থেকে গোনা শুরু করে যদি বৃহস্পতি ১ম, ৪র্থ, ৭ম বা ১০ম ঘরে থাকে। অথবা, যদি চন্দ্র এবং বৃহস্পতি একই ঘরে অবস্থান করে। এই যোগ তখনই সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী হয় যখন বৃহস্পতি তার নিজের উচ্চ রাশি (কর্কট), স্বরাশি (ধনু বা মীন) অথবা মিত্রের রাশিতে থাকে এবং চন্দ্রও বলবান থাকে।
আরও পড়ুন - কীভাবে গঠিত হয় গজকেশরী যোগ? কারা লাভ করেন এর শুভ ফল? কাদের ভাগ্যে সম্পদ
গজকেশরী যোগকে এত শুভ মানা হয় কেন?
১. বৃহস্পতি (জ্ঞান, সম্পদ, প্রজ্ঞা ও সৌভাগ্যের কারক): বৃহস্পতিকে জ্যোতিষে সবচেয়ে শুভ গ্রহ মানা হয়। এটি জ্ঞান, প্রজ্ঞা, ধন-সম্পদ, সন্তান, ধর্ম, নৈতিকতা এবং সৌভাগ্যের প্রতিনিধিত্ব করে। বৃহস্পতির প্রভাবে জাতক বিচক্ষণ, জ্ঞানী এবং ভাগ্যবান হন।
২. চন্দ্র (মন, মানসিক শান্তি, আবেগ ও জনমানসের কারক): চন্দ্র মন, আবেগ, শান্তি, জনমানস এবং মাতৃসুখের প্রতিনিধিত্ব করে। চন্দ্রের শুভ প্রভাবে ব্যক্তি মানসিক দিক থেকে স্থিতিশীল, জনপ্রিয় এবং সুখী হন।
আরও পড়ুন - পায়ের তলায় হঠাৎ চুলকানি? শুভ না অশুভ ইঙ্গিত, কী বলছে সমুদ্রশাস্ত্র
গজকেশরী যোগে লাভ
ধন-সম্পদ ও ঐশ্বর্য: বৃহস্পতির প্রভাবে প্রচুর ধন-সম্পদ লাভ হয় এবং চন্দ্রের প্রভাবে মানসিক তৃপ্তি আসে। জাতক আর্থিক দিক থেকে অত্যন্ত সমৃদ্ধ হন।
জ্ঞান ও প্রজ্ঞা: বৃহস্পতি এবং চন্দ্রের প্রভাবে জাতক অত্যন্ত জ্ঞানী, বুদ্ধিমান এবং দূরদর্শী হন। তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হন।
সম্মান ও জনপ্রিয়তা: এই যোগের প্রভাবে ব্যক্তি সমাজে অত্যন্ত সম্মানিত হন এবং জনমানসে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তারা নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।
সাহস ও আত্মবিশ্বাস: হাতির মতো শক্তি এবং সিংহের মতো সাহসের প্রতীক এই যোগের প্রভাবে জাতক অত্যন্ত সাহসী ও আত্মবিশ্বাসী হন। তারা জীবনে যেকোনো বাধা অতিক্রম করতে সক্ষম হন।
সুখ ও সমৃদ্ধি: পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় থাকে এবং জীবনে সামগ্রিক সমৃদ্ধি আসে। এই যোগ থাকা ব্যক্তিরা সাধারণত সুখী ও সন্তুষ্ট জীবনযাপন করেন।
উচ্চ পদ ও প্রতিপত্তি: কর্মজীবনে এরা উচ্চ পদ লাভ করেন এবং নিজেদের কর্মক্ষেত্রে প্রতিপত্তি অর্জন করেন।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।