আর কয়েকদিন পরেই রথযাত্রা। জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরাম তিনজনে রথে চড়ে মাসির বাড়ি যাবে। সারা বাংলা তথা দেশের আনাচেকানাচে পালিত হবে এই রথযাত্রা। ভগবান জগন্নাথ জাতিধর্মনির্বিশেষে সকলের দেবতা। তাই রথের দিন সবাই তাঁর দর্শন পান। তিনি ও তাঁর ভাইবোন সুভদ্রা ও বলরাম নগর ভ্রমণে বেরোন। মাসির বাড়ি গুণ্ডিচাবাড়িতে সাতদিন কাটান তারা। এর পর অষ্টম দিনে ফিরে আসেন মন্দিরে।
রথযাত্রায় কেন বৃক্ষরোপণ শুভ?
রথযাত্রার দিনক্ষণ শুভ বলে এই দিন বৃক্ষরোপণের মতো শুভ কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। রথযাত্রার তিথিতে বৃক্ষরোপণ করলে সুখ, সমৃদ্ধি ও সম্পদে পরিপূর্ণ থাকে সংসার। কিন্তু এই দিন কী কী বৃক্ষরোপণ করবেন, তার একটি নির্দেশ রয়েছে শাস্ত্রে। সেই নিয়ম মেনে রোপণ করলে সংসারের মঙ্গল অক্ষয় থাকে।
আরও পড়ুন - নাক দিয়ে যায় চেনা! গড়নই বলে দেবে আপনি কেমন ধরনের মানুষ
রথযাত্রার শুভ তিথিতে কী কী বৃক্ষরোপণ করবেন?
নারকেল গাছ – নারকেল গাছ রোপণ খুব শুভ বলে মনে করা হয় এই তিথিতে। এই গাছ রোপণ করলে আর্থিক লাভ হয়। পাশাপাশি চাকরিতে উন্নতি হয়।
তুলসী গাছ - বাড়িতে এই সময় তুলসী গাছ রোপণ করা উচিত। তুলসী গাছ রোপণ করলে সংসারে মা লক্ষ্মীর কৃপা বাড়ে, সুখশান্তি বজায় থাকে।
বট গাছ – বট গাছের চারা রোপণ করলে একজনের কর্মজীবনে উন্নতি হয়। পাশাপাশি তাঁর মানসিক শান্তিও অক্ষয় থাকে বলে মনে করা হয়।
শিমুল গাছ – ব্যবসার বৃদ্ধিতে সহায়ক শিমুল গাছ রোপণ। রথযাত্রার শুভ তিথিতে এই গাছ রোপণ মঙ্গলজনক বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন - তুলসীর এই শুভ লক্ষণ বাড়িতে দেয় সমৃদ্ধি ও ধন আগমনের ইঙ্গিত, খুলে দেয় অগ্রগতির পথ
বেল গাছ – বেল গাছ মহাদেবের প্রিয় গাছ। তাই এই তিথিতে বেল গাছ রোপণ করলে সংসার এবং অর্থে উন্নতি আসে।
আঁকড়া গাছ বা শমী গাছ – রাহু-কেতুর দোষ দূর করে এই গাছ। রথযাত্রার শুভ তিথিতে তাই রোপণ করুন এই বিশেষ গাছ।
অশ্বত্থ গাছ – অশ্বত্থ গাছ রোপণ ব্যক্তির পাপ মোচনে সহায়তা করে। তাঁকে দীর্ঘায়ুর আশীর্বাদ দিয়ে থাকে এই গাছ।
আমলকি গাছ – সুস্বাস্থ্যের জন্য আমলকি গাছ রোপণ করা আবশ্যক। এই গাছ পারিবারিক সম্পর্ককেও সুদৃঢ় করে থাকে।