২০২৩ সালের ডিসেম্বরে লোকসভা ভোটের আগে ব্রিগেডে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ কর্মসূচি হয়েছিল। সামনে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে আগামী ডিসেম্বরে ফের গীতার ধ্বনিতে মুখর হতে চলেছে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড। গীতাপাঠ আয়োজনের ডাক দিয়েছেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসী তথা পদ্মশ্রী প্রাপ্ত কার্তিক মহারাজ। রাজনৈতিক মহলের মতে, শুধুই ধর্মীয় কর্মসূচি নয়, এর আড়ালে রয়েছে এক স্পষ্ট রাজনৈতিক বার্তা।
আরও পড়ুন: 'আক্রমণ হচ্ছ ধর্মের ওপর, তাই...', বিধানসভা ভোটের আগে বড় বার্তা কার্তিক মহারাজের
আগামী ডিসেম্বরের ৭ তারিখ পাঁচ লক্ষ মানুষের সমাবেশ ঘটিয়ে গীতাপাঠ আয়োজনের ডাক দেওয়া হয়েছে। কার্তিক মহারাজের কথায়, এটাই হবে পশ্চিমবঙ্গের বিজয়যাত্রার সূচনা। সোমবার নৈহাটি থেকে ‘তুলসি যাত্রা’ নামে একটি পদযাত্রা শুরু করেন কার্তিক মহারাজ। মিছিলের শেষে ঘোষণা করেন ডিসেম্বরের ব্রিগেড সমাবেশের। মিছিলে তাঁর পাশে ছিলেন ব্ রাকপুরের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যরাও। মহারাজ বলেন, পাঁচ লক্ষ কণ্ঠে একযোগে গীতাপাঠ হবে। বাগেশ্বর ধামের বাবাজিসহ বহু সনাতনী সাধু-সন্তরা উপস্থিত থাকবেন। ওই দিন থেকেই গেরুয়া পতাকা ওড়ার সূচনা হবে বাংলার আকাশে। তাঁর মতে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন আসলে এক কুরুক্ষেত্র। সেই যুদ্ধ শুরু হবে শঙ্খ বাজিয়ে। গীতা পাঠই হবে সেই যুদ্ধের মূল অস্ত্র।
এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজেপি বাংলায় হিন্দু ভোটব্যাঙ্ককে একজোট করার বার্তা দিতে চাইছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাঁর ভাষণে উঠে এসেছে সাম্প্রতিক বিভিন্ন অঞ্চলে ঘটে যাওয়া অশান্তির কথাও। মহারাজ বলেন, মহেশতলা, মালদা, মুর্শিদাবাদে যা হয়েছে, তা রাবণের রাজত্ব। রামচন্দ্র যেমন রাবণকে হারিয়েছিলেন, তেমনই হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ লড়াই দরকার।
তিনি আরও বলেন, হিন্দু সমাজ যদি না জাগে, তবে রাবণের রাজত্ব চলবে। কিন্তু এবার রাবণ বধ হবে। ব্রিগেড হবে সেই মহারণের সূচনা। মিছিলে পা মিলিয়ে বিজেপি নেতা অর্জুন সিং কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে দলের পরাজয়ের কারণ হিসেবে তিনি সরাসরি মুসলিম ভোটব্যাঙ্ককে দায়ী করেন। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ব্রিগেডে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ কর্মসূচি হয়েছিল। ২০২৪ সালে তা হয়নি। এবার ফের ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসে সেই কর্মসূচি ফিরছে আরও জাঁকজমকভাবে।