আবারও প্রকাশ্যে বিজেপির অন্দরমহলের সংঘাত। এবার রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তথা আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। আর এই মন্তব্য করেছেন বিজেপিরই রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগও জমা পড়েছে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কাছে। পরে সেই অভিযোগপত্র সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হতেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। (আরও পড়ুন: কসবা কলেজে গণধর্ষণকাণ্ডে রয়েছে সাক্ষী, দাবি নির্যাতিতার, কে সেই ব্যক্তি?)
আরও পড়ুন: দলের সভাপতির কথা অমান্য করে বিস্ফোরক অগ্নিমিত্রা পাল, বিজেপি বিধায়ক বললেন…
সূত্রের খবর, অভিযোগকারীর নাম সৈকত হাজরা। তিনি বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য ও পুরুলিয়া বিভাগের কনভেনর। দলের অন্দরে অগ্নিমিত্রার ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। তাঁর নামেই লেখা অভিযোগপত্র সুকান্ত মজুমদারের দফতরে জমা পড়ে। সেই চিঠিতে সরাসরি কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে।যদিও বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর সৈকত হাজরা দাবি করেছেন, তিনি এমন কোনও চিঠি দেননি। কেউ তাঁর সই নকল করেছে। (আরও পড়ুন: গলায় কামড়, যৌনাঙ্গে ক্ষত, সামনে এল কসবা কাণ্ডে নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্ট)
আরও পড়ুন: কসবা কলেজে গণধর্ষণকাণ্ডে সামনে শিউরে ওঠার মতো বর্ণনা, ৩ঘণ্টা ২০ মিনিটে কী কী ঘটে
অন্যদিকে কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, অভিযোগটা ভিত্তিহীন। সৈকতের সঙ্গে তাঁর কোনও বিরোধ নেই। তিনি এমন কাজ করবেন বলে মনে হয় না। এদিকে, বিষয়টি নিয়ে অগ্নিমিত্রা পল মন্তব্য করতে একেবারেই রাজি নন। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপির অন্দরের বিবাদ ফের সামনে এল। মনে করা হচ্ছে, দীর্ঘদিনের চাপা দ্বন্দ্ব সামনে এল।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে অগ্নিমিত্রা পল আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রে জিতে বিধায়ক হন। তখনই বিজেপি তাঁকে রাজ্য রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ মুখ হিসেবে তুলে ধরে। একই বছর আসানসোল উত্তর কেন্দ্রে কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়কে প্রার্থী করা হলেও তিনি হেরে যান তৃণমূলের মলয় ঘটকের কাছে। তবুও তিনি রাজ্য কমিটিতে জায়গা পান। দলের ভিতরে তাঁকে ঘিরে একাংশের অস্বস্তি যে ছিল, তা এবার যেন প্রকাশ্যেই ধরা পড়ল। যদিও বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব এখনও পর্যন্ত মুখে কুলুপ এঁটেছে। এই ঘটনার সূত্র ধরেই রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক কটাক্ষ করে বলেন, বিজেপির আসল চরিত্র বাংলার মানুষ বুঝে গিয়েছে। এদের দিয়ে বাংলা চলবে না, কোনওদিনই না।