কিন্তু বেশ কয়েক মাস ধরে ট্রেনগুলি বিষ্ণুপুরে না দাঁড়ানোর জেরে যাত্রীরা নাকাল হচ্ছিলেন। এমনকী পরিস্থিতি এমন হয়েছিল, ট্রেন ধরার জন্য নিত্যযাত্রীদের বাসে চেপে নিকটবর্তী স্টেশনে যেতে হচ্ছিল। তাই হাওড়া–চক্রধরপুর ট্রেনের স্টপেজ ফেরাতে বিষ্ণুপুরের সাধারণ মানুষ আন্দোলনে নেমেছিলেন। এবার ওই ট্রেন দাঁড়াবে।
বিষ্ণুপুরে থামবে হাওড়া–চক্রধরপুর এক্সপ্রেস।
আগামী ১৫ মে থেকে বিষ্ণুপুরে থামবে হাওড়া–চক্রধরপুর এক্সপ্রেস। শুধু তাই নয়, পুরুলিয়া এক্সপ্রেসও ওন্দাগ্রাম স্টেশনে দাঁড়াবে বলে রেল সূত্রে খবর। এই বিষয়ে দক্ষিণ–পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের পক্ষ থেকে ট্রেন বিষ্ণুপুরে থামবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি হতেই এখানকার ট্রেন যাত্রীদের মধ্যে পৃথক উন্মাদনা দেখা দিয়েছে। যদিও বিজেপির সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এই পরিষেবার কৃতিত্ব নিতে চাওয়ায় শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। সাধারণ মানুষের আন্দোলন এবং রেলের উদ্যোগকে হাইজ্যাক করে নেওয়ার চেষ্টায় সৌমিত্র খাঁয়ের উপর বেজায় ক্ষুব্ধ মানুষজন।
রেলের দাবি ঠিক কী? এদিকে এই বিষয়ে আদ্রার ডিআরএম মনীশ কুমার বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট দু’টি ট্রেনের স্টপেজের জন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম। সেই দাবি মেনে নিয়ে এদিনই হাওড়া–চক্রধরপুর এবং পুরুলিয়া এক্সপ্রেস যথাক্রমে বিষ্ণুপুর, ওন্দাগ্রাম স্টেশনে থামবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে।’ হাওড়া–চক্রধরপুর ট্রেনটি বহু বছর ধরে বিষ্ণুপুর স্টেশনে থামত। কথিত আছে, স্বয়ং মা সারদা ওই ট্রেনে করেই কলকাতা যাতায়াত করতেন। কিন্তু, করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে ওই ট্রেনটির বিষ্ণুপুরের স্টপেজ তুলে দেওয়া হয়। তাই নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে পর্যটকরা সমস্যায় পড়ছিলেন। এই কারণে আবার স্টপেজ চালু করার দাবি নিয়ে গত দেড় বছর ধরে নিত্যযাত্রীরা আন্দোলন চালিয়ে যান।
ঠিক কী দাবি নিত্যযাত্রীদের? এই ট্রেন স্টপেজ নিয়ে একাধিক নিত্যযাত্রীদের দাবি, এখান থেকে কলকাতা যাওয়ার জন্য এই দু’টি ট্রেন খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বেশ কয়েক মাস ধরে ট্রেনগুলি বিষ্ণুপুরে না দাঁড়ানোর জেরে যাত্রীরা নাকাল হচ্ছিলেন। এমনকী পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে, ট্রেন ধরার জন্য নিত্যযাত্রীদের বাসে চেপে নিকটবর্তী স্টেশনে যেতে হচ্ছিল। আর তাই হাওড়া–চক্রধরপুর ট্রেনের স্টপেজ ফেরাতে বিষ্ণুপুরের সাধারণ মানুষ আন্দোলনে নেমেছিলেন। এবার ওই ট্রেন দাঁড়াবে। ওন্দাগ্রাম স্টেশনেও পুরুলিয়া–হাওড়া এক্সপ্রেস থামবে।