রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কবল থেকে মুক্তি পায়নি নয় বছরের একরত্তি শিশুটিও। ২০২১ সালে ভোট পরবর্তী হিংসায় স্কুলশিক্ষকের কাছে ধর্ষিতা হয় সে। কারণ সে বিজেপি নেতার মেয়ে। সেই স্কুলশিক্ষক তৃণমূল নেতাকে এবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি শোনাল মালদা জেলা আদালত। নাবালিকা ধর্ষণ মামলা ভোট পরবর্তী একাধিক হিংসার মধ্যে একটি ছিল। এই প্রথম ভোট পরবর্তী কোনও হিংসার ঘটনায় রায় শোনাল আদালত। অবসরপ্রাপ্ত ওই স্কুলশিক্ষক তৃণমূল নেতাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বিজেপি নেতার মেয়ে বলে
২০২১ সালের ৫ জুনের ঘটনা। ওই নাবালিকাকে ফাঁকা ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, তারা বিজেপি সমর্থক বলেই কন্যা ধর্ষণের শিকার। পুলিশ এই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। তার পর থেকেই কারাগারে বন্দী অভিযুক্ত। স্থানীয়দের কথায়, আগে সিপিএম করতেন অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম। পরে তৃণমূলে যোগ দেয়।
আরও পড়ুন - অ্যাটেম্পট টু মার্ডার! নদীয়ায় TMC কর্মীর হাতে নিগৃহীত অধ্যক্ষ, HT বাংলাকে বললেন…
সিবিআইয়ের হাতে যায় তদন্তভার
২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তির ঘটনা ঘটে। একের পর এক সেইসব অশান্তির ঘটনায় মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। রাজ্যের শীর্ষ আদালত সেই সময় প্রতিটি ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় মোট ৫৫টি মামলার তদন্তভার তারা পেয়েছিল। তার মধ্যে অন্যতম ছিল মালদার মানিকচক ব্লকের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ। নয় বছরের একরত্তি শিশু বিজেপি নেতার কন্যা বলে তাকে ধর্ষণ করে স্থানীয় তৃণমূল নেতা। তিনি আবার ঘটনাচক্রে স্কুলশিক্ষক। এবার তাঁকেই সাজা শোনাল জেলা আদালত।
আরও পড়ুন - প্রেমিকা সেজে বাসস্ট্যান্ডে এলেন প্রেমিকার হবু বৌদি! দেখা করতে গিয়ে ফাঁসলেন যুবক
ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কোনও মামলায় এই প্রথম রায়
মালদহের অতিরিক্ত নগর দায়রা আদালতের দ্বিতীয় (এডিজে-২ কোর্ট) বিচারক রাজীব সাহা বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা রফিকুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করেন। সাজা ঘোষণা করা হয় শুক্রবার। সিবিআইয়ের আইনজীবী অমিতাভ মৈত্র সংবাদমাধ্যমকে বলেন, পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মোট বাইশ জন এই মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। এই প্রথম সিবিআইয়ের তরফে দায়ের করা ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত কোনও মামলায় সাজা ঘোষণা হল।