সম্প্রতি একের পর এক পুরসভায় তৃণমূল চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন দলেরই কাউন্সিলরদের একাংশ। তারপরেই অনাস্থা নিয়ে কাউন্সিলরদের করা বার্তা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এবার সেই আবহে তৃণমূল পরিচালিত এক পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন দলেরই সদস্যরা। পূর্ব মেদিনীপুরের ধনেশ্বরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান পুষ্পেন্দু দে-র বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন দলের ১৪ জন সদস্য। এরফলে ১৫ সদস্যের এই পঞ্চায়েতে একেবারে কোণঠাসা প্রধান। এনিয়ে শাসক দলের অন্দরে তৈরি হয়েছে অস্বস্তি।
আরও পড়ুন: রায়গঞ্জে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে হামলা, বোমা–গুলির ঘটনায় তদন্ত
জানা যাচ্ছে, বিডিওর কাছে অনাস্থার আবেদন জমা দিয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্যরা। ঘটনায় জেলা নেতৃত্ব হতবাক যে এত বড় পদক্ষেপ নেওয়া হল কোনও আলোচনা ছাড়াই! প্রশ্ন উঠেছে, প্রধানকে সরানোর মতো পরিস্থিতি কীভাবে তৈরি হল? বিক্ষুব্ধ সদস্যদের অভিযোগ, প্রধান সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন একা। না হচ্ছে বৈঠক, না মানা হচ্ছে সরকারি নির্দেশ। কোথায় কোন কাজ হবে, কীভাবে হবে, তা নাকি ঠিক করছেন নিজের মর্জিমতো। অভিযোগ উঠেছে সরকারি গাছ কাটারও।
অঞ্চল সভাপতি বিকাশ মাইতি স্পষ্ট জানান, বারবার বোঝানো সত্ত্বেও পুষ্পেন্দুবাবু কারও কথা শোনেননি। গ্রামের গাছ বিক্রি করা হয়েছে, অথচ কেউ কিছু জানে না। তাই বাধ্য হয়ে এই পদক্ষেপ। তবে প্রধান পুষ্পেন্দু দে পাল্টা দাবি করেছেন, কিছু সদস্য তাঁকে টার্গেট করছেন। তাঁর বক্তব্য, তিনি কিছু অনিয়মের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই কারণেই ষড়যন্ত্র করে অনাস্থা আনার চেষ্টা চলছে। কয়েকজন সদস্যকে জোর করে সই করানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন পিংলার বিডিও লাকপা ওয়াংচু শেরপাও। তাঁর সাফ কথা, এখনই অনাস্থা আনার নিয়ম নেই। পদের মেয়াদ আড়াই বছর না হলে অনাস্থা আনাই যায় না।