একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। তাতে আউশগ্রামের তৃণমূল বিধায়ককে বেফাঁস মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে। দলের সাংসদ অসিত মালকে খাবারে লঙ্কার গুঁড়ো মিশিয়ে মেরে ফেলার কথা বলতে শোনা গিয়েছে ওই বিধায়ককে। তাতে তৃণমূল নেতার দাবি, জীবনহানির প্রত্যক্ষ হুমকি দিয়েছেন বিধায়ক।
তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। প্রতীকী ছবি
দলীয় নেতার সঙ্গে আলাপচারিতায় পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে তৃণমূল বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দারের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এই ঘটনার পরেই আউশগ্রামে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তুঙ্গে। এবার তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন দলেরই নেতা। জানা গিয়েছে, আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সহ সভাপতি উজ্জ্বল পাল বিধায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন।
একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। তাতে আউশগ্রামের তৃণমূল বিধায়ককে বেফাঁস মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে। দলের সাংসদ অসিত মালকে খাবারে লঙ্কার গুঁড়ো মিশিয়ে মেরে ফেলার কথা বলতে শোনা গিয়েছে ওই বিধায়ককে। তাতে তৃণমূল নেতার দাবি, জীবনহানির প্রত্যক্ষ হুমকি দিয়েছেন বিধায়ক। এতে পূর্ব বর্ধমানের জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে প্রাণে মেরে ফেলার চক্রান্ত করছেন তিনি। তবে এই ঘটনার পরেই বিধায়ক দাবি করেছেন, যে সামান্য ঠাট্টা ইয়ার্কি করছিলেন তিনি। কিন্তু এটা যে এইমাত্রা নেবে তা তিনি বুঝতে পারেননি। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তাঁর পালটা দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছেন।
উল্লেখ্য, ঘটনার সূত্রপাত রবিবার। ওইদিন অভেদানন্দ গুসকরার একটি লজে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী আয়োজন করেন। এরপর সেখানে সাংবাদিক বৈঠক হয়। সেখানে আউশগ্রাম ১ এবং ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তখন দলের এক নেতা বক্তব্য রাখছিলেন। আর তার পাশেই দলের আর এক নেতা আবদুল লালনের সঙ্গে ফিসফিস করে কথা বলতে শোনা যায় অভেদানন্দকে। তাদের সামনে রাখা ছিল সাংবাদিকদের বুম এবং বিধায়কের জামায় ছিল মাইক্রোফোন। তাতেই বিরূপ মন্তব্য করতে শোনা যায় বিধায়ককে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তীব্র হয়েছে।