মেটিয়াবুরুজে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের ওপর হামলার ঘটনায় রাজ্য সরকারের রিপোর্ট চাইল লোকসভার সচিবালয়। মহেশতলা হিংসার পর গত ১৯ জুন আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে সেখানে গিয়েছিলেন সুকান্তবাবু। সেখানে গিয়ে তিনি তৃণমূল কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় তাঁর স্বাধিকারভঙ্গ হয়েছে বলে লোকসভার স্পিকারের কাছে অভিযোগ করেছিলেন সুকান্তবাবু। লোকসভার সচিবালয় ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্য সরকারকে রিপোর্ট দিতে বলেছে।
গত ১১ জুন মহেশতলার রবীন্দ্রনগর থানা এলাকায় একটি রাস্তার পাশে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিজেপির অভিযোগ, এর পর হিন্দুদের দোকান, বাড়ি ভাঙচুর করে একটি গোষ্ঠীর সদস্যরা। বাড়িতে ঢুকে হিন্দু মহিলাদের শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। গত ১৯ জুন আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে মহেশতলায় যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কিছু মানুষ। কেন্দ্রীয় সরকারের রাজ্যের দাবি মতো ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন দিচ্ছে না তা নিয়ে স্লোগান তোলেন বিক্ষোভকারীরা। এমনকী সুকান্তবাবুকে লক্ষ্য করে জুতো ছোড়া হয়।
সেই ঘটনায় তাঁর স্বাধিকার ভঙ্গ হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে চিঠি দেন সুকান্তবাবু। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, উদ্দেশপ্রণোদিতভাবে হেনস্থা করা হয়েছে তাঁকে। এমনকী কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন স্থানীয় ও জেলা পুলিশের আধিকারিকরা।
সুকান্তবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে ওই ঘটনার রিপোর্ট তলব করেন লোকসভার স্পিকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে। ১৫ দিনের মধ্যে হিন্দি ও ইংরাজিতে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে কেন্দ্রকে।