মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরির বিরুদ্ধে লড়াই করে সেই চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা সরকার। এখন তাঁর নম্বর হেরফের প্রকাশ্যে আসায় চাকরির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার জেরে তাঁর চাকরি থাকবে নাকি যাবে সেটা সময় বলবে। তবে ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর মামলার শুনানি আছে। এই পরিস্থিতিতে প্রিয়াঙ্কা সাউয়ের জায়গায় চাকরি দাবি করতে এসে কলকাতা হাইকোর্টের জরিমানায় ৫০ হাজার টাকা খোয়ালেন একাদশ–দ্বাদশের এক চাকরিপ্রার্থী। এমনকী এই মামলায় প্রীতি নার্জিনারি নামে উত্তরবঙ্গের ওই চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগের মামলা খারিজ করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর আদালতকে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে মামলাকারীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
কে এই প্রিয়াঙ্কা সাউ? একাদশ–দ্বাদশের শিক্ষিকা প্রিয়াঙ্কা সাউ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই তাঁর নিয়োগ হয়েছিল। কিন্তু প্রিয়াঙ্কার চেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছেন বলে দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হন প্রীতি। তবে তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেকেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তখন সামনে আসে প্রীতির অভিযোগ ভুয়ো। এমনকী প্রীতির দাবির সপক্ষে দাখিল করা তথ্যে সন্তুষ্ট হতে পারেনি আদালত। আর তখনই জরিমানা করা হয় তাঁকে।
ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে? কয়েকদিন আগে অভিযোগ ওঠে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) কাছে আবেদন করার সময় ববিতা সরকারের স্নাতকস্তরের শতকরা নম্বর বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। তার জেরে তাঁর ‘অ্যাকাডেমিক স্কোর’ বেড়ে গিয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে আবেদনের সময়ই নিজের স্নাতকস্তরের নম্বর বাড়িয়ে দেখিয়েছেন ববিতা সরকার। ফলে বাড়তি নম্বরের সুবিধায় র্যাঙ্কিংয়ে অনেকটা এগিয়ে গিয়ে চাকরি পেয়েছেন ববিতা। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছিলেন স্কুল শিক্ষিকা। তাঁর আবেদন গ্রহণও করেছেন বিচারপতি।