কলকাতা গণধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছিল। এরপরে দলও তাদের দূরত্ব তৈরি করে কল্যাণের সেই মন্তব্য থেকে। যার পরে মহুয়া মৈত্র তোপ দাগেন কল্যাণকে। আর সেই তোপের জবাবে এবার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় যেন ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়লেন মহুয়ার বিরুদ্ধে। পিনাকী মিশ্রের সঙ্গে মহুয়ার বিয়ে প্রসঙ্গে কল্যাণ বললেন, 'মহুয়া মৈত্র সংসার ভেঙেছেন'। (আরও পড়ুন: বিভীষিকাময় সেই সন্ধ্যার পর ফের ল' কলেজে নির্যাতিতা,তাঁর মুখ থেকে সবটা শুনল পুলিশ)
আরও পড়ুন: কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্তের মোবাইল থেকে দেড় মিনিটের ভিডিয়ো ক্লিপ উদ্ধার
দলীয় সাংসদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করে কল্যাণ বলেন, 'মহুয়া মৈত্র তাঁর হানিমুন শেষ করে ভারতে ফিরে এসেছেন। আর ভারতে ফিরে আসার পর, তিনি আমার বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছেন। তিনি বলছেন আমি নারীবিরোধী। তিনি কী? তিনি একটি পরিবার ভেঙে ৬৫ বছর বয়সি এক বৃদ্ধকে বিয়ে করেছেন। এবং তিনি বলছেন আমি নারীবিরোধী। তাঁর নির্বাচনী এলাকার সকল নারী নেত্রী মহুয়ার বিরুদ্ধে। তিনি কাউকে কাজ করতে দেন না।' (আরও পড়ুন: 'কসবাকাণ্ডে মেয়েটা যদি না যেত...' বলা মদন মিত্র এবার নয়া 'চ্যালেঞ্জ' ছুড়ে দিলেন)
আরও পড়ুন: ধৃত BJP নেতারা জামিন প্রত্যাখ্যান করবেন, লকআপ থেকে বেরিয়ে ঘোষণা সুকান্তর
উল্লেখ্য, তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্রের মন্তব্যের পর সমালোচনার মুখে পড়ে তৃণমূল। এই আবহে দলের দুই প্রবীণ নেতার মন্তব্য থেকে নিজেদের দূরত্ব তৈরি করে টিএমসি। উল্লেখ্য, কসবা কাণ্ড নিয়ে কল্যাণ বলেছিলেন, 'যদি একজন বন্ধু তাঁর বান্ধবীকে ধর্ষণ করে, সেখানে পুলিশ কী করতে পারে? শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে যদি এই ঘটনা ঘটে, সেখানে কি পুলিশ থাকবে? শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তো পুলিশ দাঁড় করানো যায় না। সহপাঠী বা সহকর্মীরাই যেখানে অপরাধ করছে, সেখানে দায়িত্ব কার?' (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে হিন্দু বধূকে গণধর্ষণ, তারপর ছড়িয়ে দেওয়া হল ভিডিয়ো)
এরপর একটি পোস্টে কল্যাণ ও মদনের সমালোচনা করে তৃণমূল লেখে, ''সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনা প্রসঙ্গে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্র যে মন্তব্য করেছেন, তা তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত। দল তাঁদের বক্তব্যের সঙ্গে কোনওভাবেই একমত নয় এবং এই মন্তব্যগুলিকে কড়াভাবে নিন্দা করছে। এই ধরনের বক্তব্য কোনওভাবেই দলের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না। আমাদের অবস্থান স্পষ্ট - মহিলাদের ওপর অপরাধের ক্ষেত্রে বরাবরই জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও করা হবে। যারা এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে যেন কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।' তৃণমূলের পোস্ট শেয়ার করে মহুয়া আবার নাম না নিয়ে কল্যাণ ও মদনকে তোপ দেগেছিলেন। মহুয়া লিখেছিলেন, 'ভারতে নারীবিদ্বেষ দলীয় সীমানা দেখে না।। পার্থক্য হল, যেই ভুল করুক না কেন, তৃণমূল কংগ্রেস এই জঘন্য মন্তব্যগুলির নিন্দা করে।' সেই খোঁচার জবাবে এবার 'বিলো দ্য বেল্ট' পাঞ্চ মারলেন কল্যাণ।