ওই ইউটিউবারকে ফোন করলে তিনি জানান, ইউটিউব থেকে ওই ভিডিয়ো ডিলিট করতে হলে ২১ হাজার ৫০০ টাকা পেমেন্ট করতে হবে। ২১ হাজার টাকা রিফান্ড পেয়ে যাবেন। তখন ওই যুবক প্রথমে ২০ হাজার টাকা পেমেন্ট করেন। কিন্তু প্রতারকরা বলে, সাড়ে ২১ হাজার টাকাই দিতে হবে। কথামতো বাকি টাকাও পাঠিয়ে দেন তিনি। এরপর আসে তৃতীয় ফোন।
সেক্সটরশন নয়া ফাঁদ
প্রথমে একটি ‘হাই’ লেখা হোয়াটসঅ্যাপ। যে প্রোফাইলে রয়েছে সুন্দরী যুবতীর ছবি। কিন্তু সেখানে পাল্টা ‘হ্যালো’ লিখলেই পড়তে হবে ফাঁদে। সঙ্গে সঙ্গে যুবতীর নগ্ন ভিডিয়ো কল আসবে মোবাইলে। তারপর নয়াদিল্লি থেকে ফোন আসতে শুরু করবে এক ‘আইপিএস অফিসার’–এর। এটা অবশ্য ভুয়ো পরিচয়। কিন্তু সেটা যতক্ষণে একজন বুঝবেন ততক্ষণে খেলা জমে ক্ষীর। কারণ ‘আইপিএস অফিসারের’ কথা সহজেই বিশ্বাস করছেন মানুষ। আর চক্রে জড়িয়ে পড়ছেন।
ঠিক কী বলছেন ভুয়ো আইপিএস? ওই ‘ভুয়ো’ আইপিএস ফোন করে বলছেন, ‘যে যুবতী আপনাকে নগ্ন ভিডিয়ো কল করেছিল, সেটি আসলে প্রতারণা চক্র। যুবতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে’। এরপরই আসছে টাকা হাতানোর গল্প। কখনও ইউটিউব চ্যানেল থেকে সেই ভিডিয়ো ডিলিট করার জন্য, কখনও আবার দিল্লি হাইকোর্টে মামলার খরচ চালানোর জন্য টাকা চাওয়া হচ্ছে। এমনকী টাকা পাঠাতে দেরি করলে হাইকোর্টের ভুয়ো সমন পাঠাচ্ছে তারা। এখন একজন আইপিএস অফিসার সেজে টাকা আদায় করা হচ্ছে। এটাই নয়া ফাঁদ বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
আর কী জানা যাচ্ছে? সাইবার ক্রাইম দফতরের দাবি, সেক্সটরশন নতুন কিছু নয়। এখন টাকা চাওয়ার পদ্ধতিতে বদল করেছে প্রতারকরা। বাগুইআটির এক যুবক এমন প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তিনি ২২ মে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী, গত ১৯ মে রাতে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে হঠাৎ একটি মেসেজ আসে। তিনি খুলে দেখেন, এক যুবতী ‘হাই’ লিখে পাঠিয়েছেন। তিনিও উত্তরে ‘হ্যালো’ লেখেন। তারপরই যুবতী ভিডিয়ো কল করেন। নগ্ন অবস্থায় কামের আহ্বান। একইসঙ্গে দু’মিনিট কথাবার্তা হতেই তৈরি ফাঁদ।