মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পরিষদীয় দলের বিধায়কদের নিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে, যার নাম ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল তৃণমূল কংগ্রেস লেজিসলেটিভ মেম্বারস’। মূলত বিধায়কদের দলের বিভিন্ন নির্দেশ জানানোর পাশাপাশি বিধায়কদের বক্তব্য জানার জন্য এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু, এখন এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অনেক বিধায়কই মূল উদ্দেশ্য থেকে সরে গিয়ে হাবিজাবি পোস্ট করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নিজের প্রচারের জন্য কেউ ‘গুড মর্নিং’ বা ‘গুড নাইট’ মেসেজ পাঠাচ্ছেন, অথবা দিনভর নিজের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের কথা এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করছেন। সে বিষয়টি নজরে আসতেই এবার কড়া পদক্ষেপ করল তৃণমূল নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল তৃণমূল কংগ্রেস লেজিসলেটিভ মেম্বারস’, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে চমক কী?
এই বিষয়টি নজরে আসতেই বেজায় অসন্তুষ্ট হয়েছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। তারপরেই বিধায়কদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই গ্রুপে হাবিজাবি পোস্ট করা চলবে না। তারপরেই এই ধরনের পোস্ট বন্ধ হয়েছে। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল পরিষদীয় দলের জন্য এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি এই গ্রুপের অ্যাডমিন। এছাড়াও মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে এই গ্রুপের মাথায় রাখা হয়েছে। গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ২২৫ জন। বিধায়কদের কোনও নির্দেশ দেওয়ার থাকলে এই গ্রুপেই সিদ্ধান্ত জানাচ্ছে তৃণমূল পরিষদীয় দল।
তবে দেখা যাচ্ছে, গ্রুপটি তৈরি হওয়ার পরে অনেক বিধায়ক কার্যত নিজের প্রচার চালাচ্ছেন। সে বিষয়টি লক্ষ্য করার পরে বিধায়কদের কড়া বার্তা পাঠিয়েছেন পরিষদীয় দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। নির্দেশে বলা হয়েছে, নিজের ইচ্ছামতো কেউ যা ইচ্ছে খুশি পোস্ট করতে পারবেন না। দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটি তৈরি হয়েছে। এই গ্রুপের মাধ্যমে শুধুমাত্র দলের নির্দেশ দেওয়া এবং তা গ্রহণ করার কাজ করবে পরিষদীয় দল। পরিষদীয় দল সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিধায়কদের এই ধরনের পোস্ট নজরে আসতেই শীর্ষ নেতাদের মধ্যে আলোচনা হয়। তারপরেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ নিয়ে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশে আরও বলা হয়েছে দল বিধায়কদের যে নির্দেশ দেবে সেই নির্দেশ মেনেই চলতে হবে। অবাঞ্ছিত কোনও পোস্ট করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, পরিষদীয় দলের ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তৃণমূলের প্রতীকে জয়ী হওয়া ২১৬ জন বিধায়ক ছাড়াও বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিধায়করা। এক শীর্ষ নেতার বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী খোদ এই গ্রুপ তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেখানে দলের বিধায়কদের শৃঙ্খলার বাঁধনে বাঁধতে এই গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে এই ধরনের পোস্ট মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।