দলের শৃঙ্খলাভঙ্গ করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাই ভরতপুরের বিধায়ককে শোকজ করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস হুমায়ুন কবীরকে শোকজ করেছে। আজ লক্ষ্মীবারে কোপ পড়ল নিরাপত্তায়। হুমায়ুন কবীরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকতেন দু’জন সশস্ত্র কনস্টেবল। আর একটি এসকর্ট গাড়ি। সেখানে দলবিরোধী মন্তব্যের পর শোকজের পাশাপাশি সেই এসকর্টের নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার পরই টনক নড়ল হুমায়ুন কবীরের। আজ, বৃহস্পতিবার বিধানসভায় ছুটে গেলেন ভরতপুরের বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুয়ারে। চৌকাঠে পা রাখতেই খেলেন ধমক।
আজ দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে চেয়েছিলেন বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। বিধানসভার কক্ষে প্রশ্নোত্তর পর্বের পর নিজের ঘরে বসে কাজ করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়করা আসছেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। তখন তাঁদের মধ্যে নিজেকে আলতো করে গুঁজে দেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। যিনি রাজ্য–রাজনীতিতে বিদ্রোহী চরিত্র ধরে রেখেছেন। কিন্তু রাজপাট না থাকলে তো সব অনুগামীরাও সরে পড়বে। শোকজ নোটিশ থেকে শুরু করে নিরাপত্তায় কোপ ভাবিয়ে তোলে তাঁকে।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্র সরোবরের ভিতরে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ, কাঠগড়ায় কেএমডিএ, শোরগোল
এই আবহে পরিস্থিতি নিজের দিকে নিয়ে আসতে না পারলে হিতে বিপরীত হয়ে যাবে। তাই বিধানসভাই সেফ জোন মনে করেছিলেন হুমায়ুন কবীর। কিন্তু তাঁর ধারণা ভুল ছিল। সেফ জোন বিধানসভা যে নয় তা মুখ্যমন্ত্রীর কক্ষের চৌকাঠে পা রেখেই টের পেলেন। কিছু বলার আগেই জোর ভর্ৎসনা শুনতে হল সবার সামনে। দিদি কেমন আছেন? জিজ্ঞাসা করতে গিয়েছিলেন হুমায়ুন। যিনি একদিন আগেই জোর গলায় দাবি করেছিলেন, রাজনীতিতে তিনি কাউকে ভয় পান না। সেখানে তাঁকেই আজ ফাঁক গলে যেতে হল মুখ্যমন্ত্রীর দুয়ারে। পড়তে হল কড়া ভর্ৎসনার মুখে। যা শুনে কান লাল হয়ে গেলেও টু শব্দটি আর করেননি হুমায়ুন।