দমদম স্টেশন থেকে হনুমান মন্দির পর্যন্ত যাচ্ছে অটো রিকশ। আর ছাতাকল মোড়ে গিয়ে নাগেরবাজার যাওয়ার অটো ধরছেন যাত্রীরা। অটো রুট সচল হওয়ায় যাত্রীরা বেশ উপকৃত। নাগেরবাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে যে বাসগুলি দমদম রোড ধরে যাতায়াত করত, সেই বাসগুলি সেতু ভাঙার পর থেকেই দমদম স্টেশন সংলগ্ন জিটিআরের মাঠ থেকে ছাড়ছে।
নতুন সেতুর ভার্চুয়াল উদ্বোধন
আজ, সোমবার দুপুরে দমদম রোডের বাগজোলা খালের উপরে তৈরি হওয়া নতুন সেতুর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জেরে বিপুল পরিমাণ মানুষ এবার থেকে গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন। তার সঙ্গে যান চলাচলের জন্য খুলে যাচ্ছে এই সেতুটি। তবে সেতুটির স্বাস্থ্যের অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তার জন্য সেতু বিশেষজ্ঞরা সেটি ভেঙে নতুন সেতুর পরামর্শ দিয়েছিলেন পূর্ত দফতরের কর্তাদের। তাই গোটা সেতু ভেঙে আবার নতুন করে সেতু গড়ে তুলতে হয়। সেখানে সেতুটির স্বাস্থ্যের উন্নতিও করা সম্ভব হয়েছে এবং যাতায়াতের সুবিধা হতে চলেছে।
এই নতুন করে সেতু তৈরি হওয়ায় এখন সাধারণ গাড়ি থেকে পণ্যবাহী গাড়ি অনায়াসে যাতায়াত করতে পারবে। তার উপর রাস্তায় যে যানজট হয় সেটাও নিরসন হতে চলেছে এখন থেকেই। ২০২১ সালের ১২ অগস্ট থেকে দমদম রোডের উপর হনুমান মন্দির সংলগ্ন সেতু দিয়ে বাস, লরি–সহ ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। কারণ এই সেতুটি ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। সেতুর স্বাস্থ্য ভাল না হওয়ায় তা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। আর তার জেরেই পুরনো সেতুটি ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণ শুরু হয় ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে।
এদিকে পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, নতুন নির্মিত এই সেতুটি ৫৫ মিটার লম্বা এবং ফুটপাথ–সহ ১৩.৮ মিটার চওড়া। যেখান দিয়ে খুব সহজেই যাতায়াত করা যাবে। নয়া এই সেতুটি নির্মাণের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ২২ কোটি টাকা। তারপর রুদ্ধশ্বাস গতিতে শুরু হয় সেতুর কাজ। তবে এই সেতুটি বন্ধ থাকে গত ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল থেকে। যার জেরে ভোগান্তি বেড়ে যায় দমদমের বাসিন্দাদের। কিন্তু নতুন বছর ২০২৪ সাল পড়তেই সেই ভোগান্তি চিরতরে মুছে গেল। এখানে সেতু ভাঙার পর দমদম স্টেশন থেকে নাগেরবাজার পর্যন্ত অটো রিকশার যে রুট ছিল সেটা ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল দু’ভাগে।
অন্যদিকে এখন দমদম স্টেশন থেকে হনুমান মন্দির পর্যন্ত যাচ্ছে অটো রিকশ। আর ছাতাকল মোড়ে গিয়ে নাগেরবাজার যাওয়ার অটো ধরছেন যাত্রীরা। অটো রুট সচল হওয়ায় যাত্রীরা বেশ উপকৃত হয়েছে। আবার নাগেরবাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে যে বাসগুলি দমদম রোড ধরে যাতায়াত করত, সেই বাসগুলি সেতু ভাঙার পর থেকেই দমদম স্টেশন সংলগ্ন জিটিআরের মাঠ থেকে ছাড়ছে। নতুন সেতুটি আজ থেকে চালু হলেই আগের মতোই নাগেরবাজার থেকে ছাড়বে বাস। যা চেয়েছিলেন স্থানীয় মানুষজন। অটো রিকশও দমদম স্টেশন থেকে নাগেরবাজার পর্যন্ত চলবে।