আরও অস্বস্তিতে পড়লেন তৃণমূল নেতা তথা চিকিৎসক শান্তনু সেন। আগেই তাঁর সদস্যপদ কেড়ে নিয়েছিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। এবার বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি নিয়েও চরম অসস্তিতে পড়লেন তৃণমূল নেতা। চিকিৎসক হিসেবে তাঁর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তার স্বপক্ষে তথ্যপ্রমাণ চাইল মেডিক্যাল কাউন্সিল। কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার মানস চক্রবর্তী এবিষয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের সচিবকে চিঠি পাঠিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ‘বাধ্য হয়েই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে হচ্ছে’, আইএমএ’র প্রার্থী শান্তনু সেন
কাউন্সিলের তরফে জানানো হয়েছে, বিদেশ থেকে মেলা অতিরিক্ত ডিগ্রি সংক্রান্ত কোনও তথ্য রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে নথিভুক্ত নেই। নিয়মের কথা উল্লেখ করে মানস চক্রবর্তী জানান, সাধারণত কোনও ডিগ্রি ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিলের নথিভুক্ত না থাকলে সেক্ষেত্রে কেউ নিজেকে বিশেষজ্ঞ দাবি করতে পারেন না। তাসত্ত্বেও, শান্তনু সেন নিজেকে বিশেষজ্ঞ বলে দাবি করেছেন, যা নিয়ম বহির্ভূত। উল্লেখ্য, শান্তনু সেনের প্রেসক্রিপশনে লেখা থাকে এফআরসিপি গ্লাসগো। এনিয়ে প্রথমে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল শান্তনু সেনকে চিঠি পাঠিয়েছিল। গত ১২ ডিসেম্বর সেই চিঠি পাঠিয়ে প্রমাণ জমা দেওয়ার জন্য শান্তনু সেনকে বলেছিল কাউন্সিল। আর তার ঠিক পরের দিন ১৩ ডিসেম্বর ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে চিঠি পাঠান হল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, কমিশনে নথিভুক্ত না থাকা সত্ত্বেও শান্তনু সেন ডিগ্রি ব্যবহার করলে সেক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ করা উচিত। এবিষয়ে রেজিস্ট্রার মানস চক্রবর্তী কমিশনকে পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন। তবে তা নিয়ে অবশ্য খুব বেশি মাথা ঘামতে নারাজ শান্তনু সেন। তাঁর বক্তব্য, তাঁর কাছে সুনির্দিষ্ট ডিগ্রি রয়েছে। আর সেই ডিগ্রিতেই তিনি প্র্যাকটিস করছেন। যা একেবারেই আইনসম্মত। তিনি আরও জানান, তাঁর কাছে এখনও কোনও চিঠি আসেনি। পেলে উত্তর দেবেন। এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য সচিবকে নজর দেওয়ার আর্জি জানান তৃণমূল নেতা। পালটা রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন শান্তনু । তিনি জানান, ইচ্ছাকৃতভাবে এই সব অভিযোগ আনা হচ্ছে। তাই তাঁর কাছে চিঠি আসার আগেই।মিডিয়ার কাছে সব পৌঁছে যাচ্ছে।