দীর্ঘ ১১ বছর পরে জিম্বাবোয়ের মাটিতে টেস্ট খেলতে নেমে প্রাথমিক ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে টেস্টের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের লজ্জার হাত থেকে উদ্ধার করেন দুই অভিষেককারী ব্যাটার লুয়ান দ্রে প্রিটোরিয়াস ও ডেওয়াল্ড ব্রেভিস, যাঁকে বেবি এবি বলে ডাকা হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকা শেষবার জিম্বাবোয়ের মাটিতে টেস্ট খেলতে নামে ২০১৪ সালে। দক্ষিণ আফ্রিকার সেই দলের একমাত্র সদস্য হলেন কেশব মহারাজ, যিনি এবারও প্রোটিয়া দলে রয়েছেন। শুধু দলে থাকাই নয়, বরং চোট পাওয়া তেম্বা বাভুমার বদলে মহারাজ জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে বুলাওয়ে টেস্টে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
প্রোটিয়াদের হয়ে এই ম্যাচে টেস্ট অভিষেক হয় একসঙ্গে তিন ক্রিকেটারের। ব্রেভিস ও প্রিটোরিয়াস ছাড়া ডানহাতি পেসার কডি ইউসুফ প্রথমবার টেস্ট খেলতে নামেন দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে।
জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে এই টেস্টে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কেশব মহারাজ। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা একসময় মাত্র ২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে। তারা চতুর্থ উইকেট হারায় দলগত ৫৫ রানে। খাতা খুলতে পারেননি টনি ডি'জর্জি ও ডেভিড বেডিংহ্যাম। ম্যাথিউ ব্রিৎজকে ১৩ ও উইয়ান মাল্ডার ব্যক্তিগত ১৭ রানের মাথায় আউট হন।
লুয়ান ও ব্রেভিস পঞ্চম উইকেটের জুটিতে ৯৫ রান যোগ করেন। ব্রেভিস ৩টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৪১ বলে ৫১ রান করে আউট হন। লুয়ান ৭টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১১২ বলে ব্যক্তিগত শতরান পূর্ণ করেন। অর্থাৎ, দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে প্রথমবার টেস্ট খেলতে নেমে ব্রেভিস হাফ-সেঞ্চুরি করেন এবং শতরান করেন লুয়ান দ্রে প্রিটোরিয়াস।
প্রথম দিনের চায়ের বিরতিতে দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ২৪৮ রান তুলেছে। তারা ব্যাট করেছে সাকুল্যে ৫৯ ওভার। প্রিটোরিয়াস অপরাজিত রয়েছেন ১২৮ রানে। ১৪১ বলের ইনিংসে তিনি ৭টি চার ও ৪টি ছক্কা মেরেছেন। কাইল ভেরেইন আউট হয়েছেন ১০ রান করে। করবিন বশ ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৮ বলে ২২ রান করে নট-আউট রয়েছেন।
জিম্বাবোয়ের হয়ে তখনও পর্যন্ত ৩টি উইকেট নিয়েছেন তানাকা শিভাঙ্গা। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন ব্লেসিং মুজারাবানি ও ওয়েলিটংন মাসাকাদজা। রীতিমতো মার খেয়েছেন ভিনসেন্ট মাসেকেসা ও ব্রায়ান বেনেট। উইকেট পাননি ভিন দক্ষিণ আফ্রিকার উইয়ান মাল্ডার প্রথম ইনিংসে রান-আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন।