হেডিংলে টেস্টের প্রথম ইনিংসে কেন শার্দুল ঠাকুরকে ৬ ওভারের বেশি বোলিং দেওয়া হল না, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। শুভমন গিল ঠিক কোন কারণে তাঁকে বোলিং দিতে এত গড়িমসি করছিলেন, তা জানেন না অনেকেই। জসপ্রীত বুমরাহ ছাড়া বাকি কোনও বোলারকেই ইংল্যান্ড ব্যাটাররা তেমন পাত্তা দিচ্ছিলেন না। ফলে অপর এন্ড থেকে শার্দুলকে দিয়ে বোলিং করানো যেতেই পারত। কিন্তু তাঁকে বোলিং সেভাবে করতে না দিয়ে এবার প্রশ্নের মুখে গৌতম গম্ভীর, শুভমন গিলরা।
প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার দিনেশ কার্তিক অত্যন্ত বিরক্ত, শার্দুলকে পর্যাপ্ত ব্যবহার না করায়। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে প্রায় ৪০ ওভার পর শার্দুলকে ব্যবহার করা হয়। একটা সময় এমন চিত্রও দেখা গেছিল, যখন শার্দুল বোলিং করতে আম্পায়ারের কাছে চলে আসার পরও তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন গিল। শেষ পর্যন্ত তিনি ৬ ওভারে ৩৮ রান দেন।
কার্তিক স্পষ্ট করেই বলছেন, যদি শার্দুলকে বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে খেলানোর পরে তাঁর ওপর আস্থা না দেখায় টিম ম্যানেজমেন্ট, তাহলে তাঁকে খেলানোরও কোনও মানে থাকে না। দিনেশ কার্তিকের কথায়, ‘শার্দুলকে ঠাকুরকে খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টকে ভাবতে হবে, যদি ওরা ওর বোলিংয়ে ভরসা না করে তাহলে খেলিয়ে লাভ কোথায়? যদি ওকে ভরসা না করো, তাহলে খেলিয়েছো কেন? আমি বুঝতে পারছি যখন চারজন ফাস্ট বোলারে খেলছে দল, তখন ওকে সুযোগ কম দেওয়া হবে। ওকে যখন বোলিং দেওয়া হয়েছে হয়ত ও সেভাবে নজর কাড়তে পারেনি। তবে মাত্র ৬ ওভার বোলিং করালে সেটাও ঠিক নয়। আমার শার্দুলের জন্য খারাপই লাগছে। হয়ত শুভমন ভাবছে অন্য বোলাররা বোলিং করলে ইংল্য়ান্ডের ওপর বেশি চাপ তৈরি হচ্ছে ’।
আরেক প্রাক্তনী আকাশ চোপড়াও অখুশি শার্দুলকে ঠিকঠাক ব্যবহার না করায়। তিনি বলছেন, ‘আমি শার্দুলকে ঠিকঠাক ব্যবহার না করা নিয়ে ভাবছি। ওরা ওকে নিয়েছে, কিন্তু ওর ওপর ভরসা দেখাচ্ছে না। হতেই পারে ও একটু বেশি রান দিয়েছে, কিন্তু দীর্ঘ স্পেল না করালে তো আত্মবিশ্বাসও আসবে না। যেখানে বাকি সব বোলার প্রায় ২০ ওভার বা তার বেশি করেছে, সেখানে শার্দুল ১০ ওভারও করেনি। নতুন বলের ক্ষেত্রেও শার্দুলকে ব্যবহার করা হল না। ওর ওপর ভরসা না করাটা কিন্তু বড় সিদ্ধান্ত। যদি একদমই আস্থা না থাকে, তাহলে ওকে খেলানোই বা কেন হয়েছে? ’।