বিউটিশিয়ানের হয়ে লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বিধবা বাড়িওয়ালাকে। এমনই অভিযোগ উঠেছে, নদিয়ার চাকদহ থানার দুই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারিণী মীনা অনুপ ভৌমিক সম্প্রতি এই অভিযোগ জানিয়ে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁর আরও অভিযোগ, বিউটিশিয়ানের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে ওই দুই পুলিশ অফিসারের। এই অভিযোগ সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে চকদহে।
আরও পড়ুন: অনুব্রতকে নিয়ে আরও কঠোর সিদ্ধান্ত প্রশাসনের, অস্বস্তি বাড়ল তৃণমূল নেতার
জানা গিয়েছে, মীনা অনুপ ভৌমিক চাকদহের ছায়ানগরের গৌরিপুর এলাকায় বসবাস করেন। তাঁর অভিযোগ, এই দুই পুলিশ অফিসার ওই বিউটিশিয়ানের হয়ে তাঁকে দিনের পর দিন ভয় দেখিয়ে চলেছেন। কিন্তু, কেন ভয় দেখানো হচ্ছে? সে প্রসঙ্গে মীনা ভৌমিক জানিয়েছেন, তাঁর ব্যক্তিগত দোকানঘরটি জবরদখল করার চেষ্টা করছেন ওই বিউটিশিয়ান। অভিযোগ, এই কাজে তিনি বাধা দিলে বিউটিশিয়ান প্রথমে ওই দুই পুলিশ অফিসারের নাম করে তাঁকে হুমকি দিতে শুরু করেন। শুধু তাই নয়, ৮ জুন চকদহ থানায় এএসআই সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় ফোন করে প্রশ্ন তোলেন, ওই বিউটিশিয়ানের ঘরের ইলেকট্রিক লাইন কেন কাটা হয়েছে? এতে বিউটিশিয়ান কাজ করতে পারছেন না।
মীনার বক্তব্য, ‘ওই ঘর আমার নিজস্ব। কারও বিউটি পার্লার চালানোর অনুমতি আমি দিইনি। অথচ একজন অফিসার আমাকে ফোন করে চাপ দিচ্ছেন লাইন পুনরায় চালু করতে।’ আরও অভিযোগ, বিউটিশিয়ানের সঙ্গে এসআই রাজেন বন্দ্যোপাধ্যায় ও সঞ্জয়ের সঙ্গে বিউটিশিয়ানের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। নিয়মিত তাঁর দোকানে যাতায়াত করেন দুই অফিসার। মীনার অভিযোগ, ‘এই অস্বাভাবিক সম্পর্কের কারণেই তাঁরা আমাকে হুমকি দিচ্ছেন।’ আরও অভিযোগ, ওই বিউটিশিয়ানের এক ব্যক্তির সঙ্গে একটি অশ্লীল ভিডিয়ো এর আগে ভাইরাল হয়েছিল।
এই অবস্থায় মীনা ভৌমিক রণাঘাট পুলিশ জেলার সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন। অভিযোগে তিনি অনুরোধ করেছেন, যেন এই দুই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে উপযুক্ত বিভাগীয় তদন্ত হয় এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এছাড়া, এই দুই অফিসার বা অন্য কোনও পুলিশের সঙ্গে বিউটিশিয়ানের অনৈতিক সম্পর্ক আছে কি না তা খতিয়ে দেখার অনুরোধ করেছেন। তিনি তাঁর অভিযোগের প্রতিলিপি চাকদহ থানার আইসির কাছেও পাঠিয়েছেন