Babar Azam's Slow Knock: ওয়াসিম আক্রম মজার ছলে বলেন, ‘একটা পুরনো গল্প আছে—এক লোক তার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে রাগের মাথায় বলে, ‘আমি মরতে চাই!’ কিন্তু ঈশ্বর সত্যিই তার জীবন নিয়ে নিলেন। তখন লোকটি বলল, ‘আমি তো এমনি বলেছিলাম! আপনি সিরিয়াসলি নিলেন কেন?’
বাবর আজমের ধীরগতির ইনিংস নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন ওয়াসিম আক্রম। বাবর আজমকে নিয়ে একেবারে ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানর প্রাক্তন তারকা। আসলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এ নিজেদের প্রথম ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৬০ রানে হেরেছে পাকিস্তান। ৩২১ রানের কঠিন লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ১০ ওভারে মাত্র ২২ রান তুলেছিল পাকিস্তান। যেখানে দুই উইকেটও হারিয়েছিল তারা। দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বাবর আজম ৯০ বলে ৬৪ রান করলেও তার ধীর ব্যাটিং নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। প্রাক্তন পাকিস্তানি কিংবদন্তি ওয়াসিম আক্রম মজার ছলে বাবরের ইনিংসকে বিদ্রূপ করেছেন।
‘স্পোর্টস সেন্ট্রাল’ চ্যানেলের পোস্ট-ম্যাচ বিশ্লেষণ শোতে আক্রমকে সঞ্চালোক স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন যে, তিনি একবার বাবর আজমকে বলেছিলেন ‘স্ট্রাইক রেট নিয়ে না ভেবে লম্বা ইনিংস খেলতে।’ সেই কথার প্রসঙ্গে আক্রম মজার ছলে বলেন, ‘একটা পুরনো গল্প আছে—এক লোক তার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে রাগের মাথায় বলে, ‘আমি মরতে চাই!’ কিন্তু ঈশ্বর সত্যিই তার জীবন নিয়ে নিলেন। তখন লোকটি বলল, ‘আমি তো এমনি বলেছিলাম! আপনি সিরিয়াসলি নিলেন কেন?’
ওয়াসিম আক্রম এরপর হেসে বলেন, ‘ঠিক সেভাবেই, আমি যখন বাবরকে বলেছিলাম ধৈর্য ধরে খেলতে, আমিও তো এমনিতেই বলেছিলাম! ও কেন এটা এত সিরিয়াসলি নিল?’ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চেতেশ্বর পূজারা।
বাবরের ইনিংস এমন এক পরিস্থিতিতে এসেছিল, যেখানে পাকিস্তান ব্যাটসম্যানদের আক্রমণাত্মক খেলা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তিনি ৮১ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করেন বাবর। যেখানে তার স্ট্রাইক রেট মাত্র ৬১.৭ ছিল। প্রথম ১০ ওভারের মধ্যেই পাকিস্তান ২২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে, যেখানে সউদ শাকিল এবং অধিনায়ক মহম্মদ রিজওয়ান আউট হন। এরপর বাবরও গতি বাড়াতে পারেননি। বিশেষ করে ১৬তম ওভার থেকে ৩২তম ওভার পর্যন্ত টানা ১৬ ওভারে তিনি একটি বাউন্ডারিও হাঁকাতে পারেননি।
ওয়াসিম আক্রম স্পষ্ট ভাষায় জানান, অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স নিয়ে তিনি হতাশ। ওয়াসিম আক্রম বলেন, ‘দেখুন, আমি যদি একদম সৎভাবে বলি, তাহলে বলব। আমাদের সংস্কৃতিতে আমরা বলি, ‘এরা আমাদের ছেলে, ওদের সমালোচনা কর না।’ এটা খুব সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু আমি মনে করি, এরা আমাদের সেরা খেলোয়াড়। যদি এদের চেয়ে ভালো কেউ থাকত, তাহলে নিশ্চয়ই সে দলে সুযোগ পেত।’
শেষদিকে পাকিস্তানের লড়াই, কিন্তু বাবরের ধীরগতির ইনিংসই কাল হল-
শেষদিকে পাকিস্তানের মধ্যক্রমের ব্যাটসম্যানরা কিছুটা চেষ্টা করলেও বাবরের ধীর ইনিংস দলকে বড় ক্ষতির মুখে ফেলে দেয়। সলমন আলি আঘা ২৮ বলে ৪২ ও খুশদিল শাহ ৪৯ বলে ৬৯ রান করে দলের রান বাড়ান, কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছিল। প্রথম ১০ ওভারেই ধীরগতির ব্যাটিং এবং বাবরের কম স্ট্রাইক রেটের কারণে পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যের অনেক দূরে থেকে ম্যাচ হেরে যায়। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি দুবাইতে পাকিস্তান তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হবে।