মহেন্দ্র সিং ধোনিকে নিয়ে রসিকতা করেছিলেন পিটারসেন, যা শুনে চুপ থাকেননি জাহির খান। এর জবাবে যুবরাজ সিংয়ের নাম নিয়ে পিটারসেনকে খোঁচা দিয়েছিলেন জাহির খান। পিটারসেন বলেছেন যে তিনি টেস্টে মাহিকে আউট করেছেন এবং তাঁর উইকেটের তালিকায় পাকিস্তানের কামরান আকমলের সঙ্গে ধোনির নামও রয়েছে।
জাহির খান ও কেভিন পিটারসেন (ছবি-এক্স)
Kevin Pietersen vs Zaheer Khan: বিশাখাপত্তনমে ভারত বনাম ইংল্যান্ড টেস্টের চতুর্থ দিনে ইংল্যান্ডের কেভিন পিটারসেন এবং ভারতের জাহির খানের মধ্যে প্রায় লড়াই লেগে গিয়েছিল। দু জনে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিলেন। দুজনেই একে অপরকে প্রচণ্ডভাবে কটূক্তি করেছিলেন, কিন্তু জাহিরের কটূক্তি পিটারসেনের জন্য খুব বেশি অপমানিত হয়েছিল। তবে দুজনের মধ্যে যে কথার যে লড়াই হয়েছে, তা বেশ মজার ঢঙেই হয়েছিল।
আসলে, মহেন্দ্র সিং ধোনিকে নিয়ে রসিকতা করেছিলেন কেভিন পিটারসেন, যার উপর জাহির খান একটি সত্যের আলো দেখিয়েছিলেন। যুবরাজ সিংয়ের নাম নিয়ে পিটারসেনকে খোঁচা দিয়েছিলেন জাহির খান। পিটারসেন বলেছেন যে তিনি টেস্টে মাহিকে আউট করেছেন এবং তাঁর উইকেটের তালিকায় পাকিস্তানের কামরান আকমলের সঙ্গে ধোনির নামও রয়েছে। এতে যুবরাজের ধীরগতির বাঁহাতি স্পিনের বিরুদ্ধে পিটারসেনকে তার সংগ্রামের কথা মনে করিয়ে দেন জাহির খান।
ভারত বনাম ইংল্যান্ডের মধ্যে দ্বিতীয় টেস্টের সময় ধারাভাষ্য করছিলেন কেভিন পিটারসেন ও জাহির খান। ২০০৭ সালে ওভালে খেলা টেস্টে ধোনিকে ৯২ রানে আউট করেছিলেন পিটারসেন। জাহিরের সঙ্গে কথোপকথনের সময় কেপি সেই কথাটি উল্লেখ করেছিলেন। এরপর মাঠের বাইরে স্লেজিংয়ের ঘটনা ঘটে দুজনের মধ্যে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক দুজনের মধ্যে কী কথা হয়েছিল?
কেভিন পিটারসেন বলেন, ‘আমার পকেটে কে আছে জানেন? মহেন্দ্র সিং ধোনি। তিনি আমার পকেটে কামরান আকমলের পাশে রয়েছেন।’
এর উত্তরে প্রাক্তন ভারতীয় ফাস্ট বোলার জাহির খান অবিলম্বে উত্তর দেন, ‘আপনি জানেন আমি সম্প্রতি যুবরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেছিলাম এবং তিনি জানিয়েছিলেন তাঁর পকেটে নাকি তিনি কেভিন পিটারসেনকে রেখে দিয়েছেন।’
পিটারসেন এটা শুনে হেসেছিলেন এবং ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক ব্যঙ্গ করেছিলেন যে তিনি জানতেন জাহির খান এই কথা বলতে চলেছেন। পিটারসেন হাসতে হাসতে বলেন, ‘যুবরাজ আমাকে অনেকবার আউট করেছে।’
এ বিষয়ে জাহির খান বলেন- ‘আমার মনে আছে পিটারসেন যুবিকে একটি বিশেষ ডাকনাম দিয়েছিলেন।’
এর পরে পিটারসন বলেন, ‘হ্যাঁ এবং যুবিও কিছু সময়ের জন্য এটিকে তার ই-মেইল আইডি হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। আমরা মাঠে দারুণ কিছু লড়াই করেছি। কিছু সুন্দর ম্যাচ ছিল এবং আপনি এতদিন খেললে সেটাই হয়। ভালো জিনিস হল যে আপনি এটি সম্পর্কে কথা বলতে পারেন এবং এটির সঙ্গে মজা করতে পারেন। অশ্বিনের মতো একজন খেলোয়াড় বেন স্টোকসের ক্যারিয়ার শেষ হলে একই কাজ করবেন। ওরা নিশ্চয়ই হাসছে, এমন রসিকতা করছে।’