বিশ্বকাপে প্রথম পর্বের লড়াই শেষ। এবার ফাইনালের অপেক্ষা। বুধবারই আর সাগরের তীরে ঠিক হয়ে যাবে চলতি বিশ্বকাপে প্রথম ফাইনালিস্ট কারা হবে। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়েতে বুধবার ভারত বনাম নিউজিল্যান্ডের মহারণ। টিম ইন্ডিয়া যেন বদলার আগুনে টগবগ করে ফুটছে। ২০১৯ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালের হারটা যে এখনও হজম করতে পারেনি ভারত।
এদিকে বৃহস্পতিবার আবার কলকাতায় দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়া। তবে ২০১১ সালের পর ফের ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলছে ভারত। তাই রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের ঘিরেই উন্মাদনার পারদ এখন তুঙ্গে। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়েতে বুধবার বহু নামীদামীদের দেখা মিলবে। বিভিন্ন স্তরের তারকারাই হয়তো উজ্জ্বল করবে গ্যালারির আলো। আর সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় ঘটনা ঘটতে পারে, যদি এই তারকাদের সঙ্গে নাম থাকে ফুটবল কিংবদন্তি ডেভিড বেকহ্যামের। সব ঠিকঠাক থাকলে হয়তো বুধবার ওয়াংখেড়েতে সচিন তেন্ডুলকরের পাশে বসেই খেলা উপভোগ করতে পারেন বেকহ্যাম।
আরও পড়ুন: বাবরদের বিদেশি পুরো কোচিং স্টাফদের ছাঁটাইয়ের পথে পাকিস্তান- রিপোর্ট
সূত্রের খবর, তিন দিনের জন্য ভারত সফরে আসছেন ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি ফুটবলার। তিনি ইউনিসেফের গুডউইল অ্যাম্বাসাডর হিসাবে ভারতে আসবেন। জানা গিয়েছে, এই সফরেই তিনি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ম্যাচের স্বাদও নেবেন। আসলে বেকহ্যামের ভারত সফরের বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যে নিশ্চিত করেছে ইউনিসেফ ইন্ডিয়া। তারা লিখেছে, ‘ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত ডেভিড বেকহ্যামকে ভারতে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
আরও পড়ুন: রোহিতের মতো বিশ্ব ক্রিকেটে কেউ নেই- কোহলি, বাবরদের উপেক্ষা করে হিটম্যানে মজেছেন আক্রম
জাতিসঙ্ঘের জরুরি শিশু তহবিল ইউনিসেফের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের শুভেচ্ছাদূত হিসাবে দুই দশকের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন সচিন তেন্ডুলকর। রিয়াল মাদ্রিদ এবং ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের প্রাক্তন ফুটবলার বেকহ্যামও ইউনিসেফের সঙ্গে যুক্ত ২০০৫ সাল থেকে। তেন্ডুলকরের মতো বেকহ্যামও ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত।
ক্রিকেটের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন এবং নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সমতা আনতে ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করেছে আইসিসিও। বিশ্বকাপের শুরু থেকেই ইউনিসেফের টি–শার্ট পরে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন তেন্ডুলকর। সেই কাজের অংশ হিসাবেই এবার বেকহ্যামও সম্ভবত যোগ দিচ্ছেন। ম্যাচ শুরুর আগেই ইউনিসেফের টি–শার্ট পরে বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে মাঠে ঢোকার কথা সচিন এবং বেকহ্যামের। এর পর ভিভিআইপি গ্যালারিতে বসে ম্যাচ উপভোগ করবেন তাঁরা।
যাইহোক ওয়াংখেড়েতে ভারত-নিউজিল্যান্ডের সেমিফাইনালের অনেক আগে থেকেই মাঠের বাইরে স্নায়ুর লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে। চার বছর আগে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে হেরেই ভারতের বিশ্বজয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল। আর এই ম্যাচে হারের বদলা নেওয়ার জন্য মরিয়া রোহিত শর্মারা।