কামিন্সের ক্যাচ দেখে হতবাক হয়ে যান বাবর আজম। বেশ কয়েক সেকেন্ড দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। ভাবতেই পারেননি, তিনি আউট হয়ে গিয়েছেন। যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না বাবর। ঘটনাটি ঘটে পাকিস্তান ব্যাটিংয়ের ২৬.২ ওভারে। পাক দলের স্কোর তখন ১৭৫ রান।
কামিন্সের ক্যাচ দেখে হতভম্ব বাবর আজম।
শুভব্রত মুখার্জি: বেঙ্গালুরুতে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে চলতি ওডিআই বিশ্বকাপের ১৮তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান এবং অস্ট্রেলিয়া। দুই দলের কাছেই এই ম্যাচ খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দু'টি দল তিনটি করে ম্যাচ খেলেছে। পাকিস্তান জিতেছে দুটিতে, হেরেছে একটিতে। সেখানে অজিরা দু'টি ম্যাচ হেরেছে এবং একটিতে জিতেছে। পাকিস্তান শেষ ম্যাচে ভারতের কাছে বাজে ভাবে হেরেছে। ফলে এই ম্যাচে অজিদের বিরুদ্ধে জিততে মুখিয়ে ছিল তারা। ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া দল। ৩৬৭ রান করে অজিরা। রান তাড়া করে জয়ের ক্ষেত্রে পাক দলের ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়ার প্রয়োজন ছিল বাবর আজমের। তবে এই ম্যাচে বাবর খুব বেশি রান করতে পারেননি। শর্ট মিড উইকেটে এক দুরন্ত ক্যাচে তাঁকে ফেরান অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
এতটাই ভালো ক্যাচ নেন কামিন্স যে, বাবর বুঝতে পারেননি যে, তিনি আউট হয়েছেন।ফলে কামিন্সের ওই ক্যাচের পরে হতবাক হয়ে যান বাবর। বেশ কয়েক সেকেন্ড দাঁড়িয়ে থাকেন ২২ গজেই। তিনি যে আউট হয়েছেন তা যেন বিশ্বাস করতেই পারেননি বাবর।
ঘটনাটি ঘটে পাকিস্তান ব্যাটিংয়ের ২৬.২ ওভারে। পাক দলের স্কোর তখন ১৭৫ রান। বল করছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম জাম্পা। তাঁর একটি শর্ট বলকে মিড উইকেট অঞ্চলে পুল শটে চার হাঁকাতে গিয়ে পাক অধিনায়ক বাবর আজম ক্যাচ আউট হন। শর্ট মিড উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকা অজি অধিনায়ক তাঁর ডান দিকে শূন্যে দেহ ছুড়ে দিয়ে দুরন্ত একটি ক্যাচ লুফে আউট করে দেন বাবরকে। এতটাই ভালো ক্যাচ নেন ,যে বাবরের বিশ্বাস হয়নি যে তিনি আউট হয়েছেন।
ম্যাচে ১৪ বলে ১৮ রান করেন বাবর আজম। এদিন রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান শুরুটা ভালো করেছিল। প্রথম উইকেট জুটিতে তারা ১৩৪ রান করে। ২১.১ ওভারে আউট হয়ে যান আবদুল্লা শফিক। এর পরেই ভাঙে জুটি। ৬১ বলে ৬৪ রান করে আউট হন শফিক। এছাড়া ও অপর ওপেনার ইমাম উল হক করেন ৭০ রান। ৭১ বলে ৭০ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। দুটি উইকেট নিয়ে অজিদেরকে ম্যাচে ফেরান মার্কাস স্টোইনিস। শেষ পর্যন্ত ৪৫.৩ ওভারে ৩০৫ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। ৬২ রানে ম্যাচ জেতে অস্ট্রেলিয়া।