বিশ্বকাপ খেলতে ভারতের পা দেওয়ার পর থেকে এদেশের আতিথেয়তায় আপ্লুত দেখায় বাবার আজমদের। হায়দরাবাদ থেকে কলকাতা, যেখানেই খেলতে নেমেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল, গ্যালারির সমর্থন পেয়েছে বিস্তর। পাক তারকারা নিজেরাই স্বীকার করেছেন যে, ভারতে এসে মনেই হয়নি তাঁরা বিদেশে খেলছেন। বরং হায়দরাবাদকে একসময় লাহোর-ইসলামাবাদ বলে মনে হচ্ছিল তাঁদের।
ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছ থেকে বিস্তর সমর্থন পেলেও বীরেন্দ্র সেহওয়াগের মতো টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন তারকার দিক থেকে সময়ে সময়ে আক্রমণ ধেয়ে এসেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের দিকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখা চোখা ভাষায় বাবর আজমদের উদ্দেশ্যে সমালোচনার তির ছুঁড়েছেন বীরু। এমনকি পাকিস্তান বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পরে টুইটারে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতেও দেখা যায় সেহওয়াগকে।
বীরুর এমন পাক বিরোধী অবস্থান নিয়ে চর্চাও শুরু হয়ে যায়। তাতে বিন্দুমাত্র না দমে সেহওয়াগ নতুন করে আক্রমণ শানালেন পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে। শনিবার সরকারিভাবে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ ২০২৩ থেকে বিদায় নিশ্চিত হওয়ার পরে সেহওয়াগ নিজেই জানালেন, তাঁর এমন পাক বিরোধী অবস্থানের কারণ।
টুইটারে বীরু লেখেন, ‘একুশ শতকে মোট ৬টি ওয়ান ডে বিশ্বকাপ হয়েছে। কেবলমাত্র ২০০৭ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠতে পারিনি আমরা। শেষ ৬টি বিশ্বকাপের মধ্যে ৫ বার সেমিফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করেছি আমরা। অন্যদিকে, পাকিস্তান ৬টি বিশ্বকাপের মধ্যে কেবল মাত্র ২০১১ সালে একবার সেমিফাইনালে ওঠে। তা সত্ত্বেও ওরা হাস্যকরভাবে আইসিসি ও বিসিসিআইয়ের বিরুদ্ধে বল ও পিচ বদলের অভিযোগ তোলে।’
সেহওয়াগ আরও লেখেন, ‘আমরা ওদের হারানো সত্ত্বেও যখন অন্য দলের কাছে হারি, ওদের (পাকিস্তানের) প্রধানমন্ত্রী আমাদের উপহাস করে। এখানে পৌঁছনোর পরেও ওদের খেলোয়াড়রা হায়দরাবাদে চায়ের কাপ হাতে ছবি পোস্ট করে আমাদের সেনাদের ব্যঙ্গ করে। পিসিবি প্রধান ক্যামেরার সামনেই আমাদের শত্রু দেশ হিসেবে উল্লেখ করে। ওরা ঘৃণা করবে অথচ তার বদলে ভালোবাসা আশা করবে, এটা হতে পারে না।’
বীরু শেষ করেন এটা লিখে যে, ‘যারা ভালো ব্যবহার করে, তাদের আমরা অত্যন্ত ভালো ব্যবহার ফিরিয়ে দিই। আর যারা এরকম ব্যবহার করে, সময় মতো সুদ সমেত সেটা ফিরিয়ে দেওয়া আমার কর্তব্য। মাঠে এবং মাঠের বাইরেও।’
উল্লেখ্য, পাকিস্তান এবার নেদারল্যান্ডস ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জোড়া জয় দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করে। তবে তৃতীয় ম্যাচে ভারতের কাছে পরাজিত হওয়ার পরেই খেই হারান বাবর আজমরা। শেষমেশ বিশ্বকাপের গ্রুপ লিগ থেকেই বিদায় নিতে হয় তাঁদের।