চলতি বছরেই অভিনেত্রী অহনা দত্ত দেন সুখবর। সমুদ্র সৈকত থেকে ছবি পোস্ট করে প্রেগন্যান্সির খবর প্রকাশ্যে আনেন অভিনেত্রী। স্বামী দীপঙ্করকে পাশে নিয়ে এই সুখবর ভাগ করে নেন তিনি। তবে মায়ের অমতে বিয়ে করেছিলেন তিনি। তাই তাঁর জীবনের এত বড় একটা খবর পাওয়ার পরও মা চাঁদনী কোনও রকমের খোঁজ খবর নেননি। আর এবার শরীরে সন্তানের অনুভূতি আরও বেশি করে অনুভব করলেন। সমাজমাধ্যমের পাতায় সেই কথা শেয়ার করলেন নায়িকা।
বৃহস্পতবার অভিনেত্রী একটি পোস্ট করে লেখেন, ‘ভোর ৫:৪৫ টার দিকে, আমার পেটে একটা ছোট্ট পায়ের স্পর্শ অনুভব হল। প্রতিদিনের স্বাভাবিক নড়াচড়া ছিল না এটা... বেশ জোরে জোরে লাথি মারছিল। আমি অনুভব করতে পারছিলাম আমার সন্তানের পা আমার হাতের তালুতে স্পর্শ করছে। এটা এতটাই তীব্র ছিল যে, ওই অনুভূতিতে আমার ঘুমও ভেঙে যায়।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সমস্ত গল্প এবং সিনেমা দেখানো হয় যে সন্তান মায়ের পেটে লাথি মারে, সেটা আজ দেখলাম। এটা এমন একটা লাথি ছিল যে, সে যেন আমাকে বলছিল যে, আমি তোমার সঙ্গেই আছি। আমি চিরকাল ধরে রাখার মতো স্মৃতি হিসেবে এটা লিখছি। আর আমার চিনি (নায়িকার পোষ্য) আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি হাঁপাতে হাঁপাতে সেও জেগে উঠল। সে ঘুম থেকে উঠে যেন আমাকে অভিনন্দন জানাচ্ছে... এত খুশি এত উত্তেজিত। আমি আমার ক্লান্ত-ঘুমন্ত স্বামীর হাত আমার হাতে রাখলাম এবং দুটো হাত আমার পেটের ঠিক উপরে রাখলাম যেখানে আমি লাথি অনুভব করেছি। এটা খুব বেদনাদায়ক তো ছিলই, কিন্তু এর আগে কোনও যন্ত্রণা এত সুন্দর মনে হয়নি। আমি কেঁদে ফেলেছিলাম সেই ছোট্ট পাগুলোর কথা ভেবে যেগুলো আমাকে একই সঙ্গে কাঁদাতে এবং হাসাতে পারে।’
তারপরই অহনা তাঁর অনাগত সন্তানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তোমার বাবা বলছেন, এই বাচ্চাটা যখন আমার স্ত্রীর সঙ্গে আবার এমন করার চেষ্টা করবে, তখন তাকে একটু থাপ্পড় মারবে। কিন্তু আমি জানি তুমি আমার ভেতরে থাকাকালীন যা কিছু করো, তাতে ও খুব গর্বিত। আমরা কখনওই তোমার ক্ষতি করার বা তোমাকে আঘাত করা বা দুর্বল করার কথা ভাবতে পারি না। যেহেতু আমি এই সময়গুলো আমার পাশে কোনও সাহায্য ছাড়াই কাটাচ্ছি, পরিবারের কোনও মহিলা সাহায্য করার জন্য ছিলেন না, মাঝে মাঝে তো আমার খুব বমি হত আমি তাতে পড়ে যেতাম, একা প্রতিটা খিঁচুনি সহ্য করতাম। আর তা সহ্য করতে পারতাম তোমার ছোট্ট শরীর এত শক্তিশালী হওয়ার কারণে। আমার সোনা, ঈশ্বর তোমাকে শক্তি দিয়েছেন।'
তারপরই অহনা লেখেন, ‘২২ বছর বয়সে তোমাকে কোলে নিতে পারব ভেবে আমি খুব গর্বিত এবং আজ আমার মনে হচ্ছে তোমার বাবাকে বিয়ে করার পর এটাই আমার সব থেকে বড় সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। আমরা তোমাকে অনেক ভালোবাসি। ঈশ্বর তোমার মঙ্গল করুক।’