২০২৩ সালের ৯ মার্চ অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সহকারী ঐন্দ্রিলা সেন ওরফে মোহরকে বিয়ে করেন গায়ক দুর্নিবার সাহা। তবে এটি ছিল সারেগামাপা-খ্যাত গায়কের দ্বিতীয় বিয়ে। এর আগে তিনি মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল দুর্নিবারের। ফলত, মিনাক্ষীর সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পর, দুর্নিবারের দ্বিতীয় বিয়ের সিদ্ধান্তে রীতিমতো ট্রোলের পাহাড় বসেছিল সোশ্যাল মিডিয়াতে। সম্প্রতি এই নিয়ে মুখ খুললেন গায়ক এক সাক্ষাৎকারে।
ডিভোর্সের কারণ প্রকাশ করে দুর্নিবার টিভি নাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানালেন, ‘দেখো নিজের একটা আত্ম উপলব্ধি হয় যে, আমি আমার জার্নিতে সেকেন্ডারি হয়ে যাচ্ছি। আমি নিজেকে নিজে আর নিয়ে যাচ্ছি না। নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারছি না। নেওয়ার সুযোগ থাকছে না। সামর্থ্য থাকছে না আমার কাছে। সেখানে নিজেকে একটু সম্মান দিতে পেরেছি আমি যে, তুমি বুঝতে পেরেছ তুমি কী করার চেষ্টা করছ। তুমি নিজের মতো করে যদি বেঁচে থাকতে চাও, তাহলে একটা সিদ্ধান্ত নাও যে, আগে আলাদা হও।’
দুর্নিবার আরও বলেন, ‘এই আলাদা হওয়ার প্রসেসটার জন্য আমাকে অনেক কিছুর মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। আমি বন্ধুদের থেকে দূরে চলে গিয়েছি। আমার মা-বাবার থেকে দূরে চলে যাই। সবার থেকে। মানে জনমানবের থেকে আমি দূরে চলে যাই। নিজেকে এক্সপ্লোর করার জন্য একটা জার্নিতে বেরিয়ে পড়ি। প্রায় ২২ দিন ধরে একা-একা গাড়ি নিয়ে ভারত ঘুরেছি।’
সঙ্গে ট্রোল প্রসঙ্গে গায়কের স্পষ্ট জবাব, ‘সোসাইটির কথা যতবার এসেছে, আমার মনে হয়েছে যে আমার নিজের লোকগুলো তো এই প্রশ্নটা আমায় করছে না। তাই আমার কিছু যায় আসছে না। তাদেরকে (ট্রোলারদের) এটাই বলেছি শুধু, আপনারা নিজের চরকায় তেল দিন। আমারটা আমি বুঝে নিচ্ছি। আমার চরকায় তেল দেওয়ার দরকার নেই, গাড়িটা যেটুকু চলছে, যাত্রাপথটা শুধু দেখে নিন, তাহলেই হবে।’
প্রসঙ্গত, মীনাক্ষী এবং দুর্নিবার আইনি বিয়ে সেরেছিলেন ২০১৭তে। তারপর একসঙ্গেই থাকতেন। তারপর ২০২১-এর মার্চে সামাজিক বিয়ে হয়। আইবুড়োভাত, গায়ে হলুদ, মেহেন্দি, সঙ্গীত সবই হয়েছিল। তারপর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই, আসে বিয়ে ভাঙার খবর। খবর, ২০২২-এর শেষের দিকে, দুর্নিবারের জীবনে প্রবেশ ঐন্দ্রিার। আর ভাঙা মন জুড়ে দেন ভালোবাসার পরশে। আপাতত দুর্নিবার-মোহরের পরিবারে এসেছে তৃতীয়জনও, তাঁদের ছোট্ট ছেলে ধিয়ান।