গদর ২-এর সাফল্যের পর সাফল্যের সপ্তম স্বর্গে রয়েছেন আমিশা পাটেল। মাসখানেক আগেও যার টিকিটি পাওয়া যেত না বলিউডের কোনও জনপ্রিয়া পার্টি বা অ্যাওয়ার্ড শো-তে, তাঁকে এখন টিকিট কেটে দেখছেন হাজার হাজার লোক প্রায় রোজই। ১২ দিনে ৪০০ কোটির ঘরে ঢুকে পড়েছে ‘গদর২’। সম্প্রতি আমিশা কথা বললেন তাঁর ২০০২ সালের ছবি ‘ইয়ে হ্যায় জলওয়া’ নিয়ে। করে বসলেন এক বিস্ফোরক দাবি।
‘ইয়ে হ্যায় জলওয়া’-তে আমিশার নায়ক ছিলেন সলমন খান। আর ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন ডেভিড ধাওয়ান। আমিশার মতে, এই ছবিকে ডেভিডের কেরিয়ারের অন্যতম সেরা ছবি হিসেবে ধরা যেতে পারে। সলমনকেও নাকি এত হিরো সুলভ এর আগে লাগেনি। আরও পড়ুন: ৮.৫ মিলিয়ান ফলোয়ার্স, কিন্তু ইনস্টায় মাত্র ৩ জনকে ফলো করেন অরিজিৎ সিং
ভাবছেন তাহলে বিতর্কটা কোথায়? আমিশা আসলে মনে করেন ‘ইয়ে হ্যায় জলওয়া’ ছবিটি সেভাবে মিডিয়ায় জায়গা করে নিতে পারেনি। ফলত দর্শক মনেও সেভাবে ছাপ ফেলতে পারেনি। কারণ সেই বছর সংবাদমাধ্যম ব্যস্ত ছিল সলমন খানের হিট অ্যান্ড রান কেস নিয়ে। আর নাহলে নাকি ছবি ভালোই ব্যবসা করত বাজারে। আরও পড়ুন: আদালতে চলছে মানহানির মামলা! এবার নোরার কারণে বড় ক্ষতির মুখে পড়লেন জ্যাকলিন
সলমন খানের হিট অ্যান্ড রান কেসের মাসখানেক আগেই মুক্তি পেয়েছিল ‘ইয়ে হ্যায় জলওয়া’। মুম্বইয়ের রাস্তায় বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর জন্য গ্রেফতার হয়েছিলেন সলমন খান। অভিযোগ ছিল, গাড়ি নিয়ে রাস্তার পাশে থাকা একটা বেকারিতে ধাক্কা মারার। সেই সময় ১ জন গাড়ির তলায় চাপা পড়ে মারা যায়, আহত হয় আরও ৩জন। প্রাথমিকভাবে, অভিনেতার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছিল। যদিও পরে তা খারিজ হয়ে যায়। আরও পড়ুন: ‘মিঠাই’ সৌমিতৃষা অতীত! নতুন বেস্টফ্রেন্ড পাতালেন কৌশাম্বি, আক্রমণ নেটপাড়ার
এই সাক্ষাৎকারেই সলমন খান আরও একটি সিনেমার কথা বলেন যা নিয়ে প্রত্যাশা থাকলেও হলে চলেনি।যা হল অজয় দেবগনের সঙ্গে ‘জমির’। এখানে আমিশার কলেজের অধ্যাপক ছিলেন অজয়। জমির ছিল তামিল ছবির রিমেক, যেটি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিল। দুর্ভাগ্যবশত, ছবিটি যখন মুক্তি পেতে চলেছে তখন প্রযোজক মারা যান। আমিশার মতে, সেই কারণে ছবিটি ঠিকভাবে দর্শকের কাছে পৌঁছতে পারেনি। আমিশা আরও মনে করেন আমির খান অভিনীত 'মঙ্গল পান্ডে' ছবির রিভিউ নিয়ে যতটা নেগেটিভ লেখা হয়েছিল, সেটারও কোনও প্রয়োজন ছিল না।