বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > 'সবটাই কোনও রকম যাচাই ছাড়াই...' সত্যিই ঘর ভাঙছে ছেলে-বৌমার? ঐশ্বর্য-অভিষেকের ডিভোর্স নিয়ে মুখ খুললেন খোদ বিগ বি!
পরবর্তী খবর
বিগত কয়েক মাস ধরেই এক নাগাড়ে চর্চা চলছে ঐশ্বর্য রাই বচ্চন এবং অভিষেক বচ্চনের ডিভোর্স নিয়ে। তাঁদের নাকি ঘর ভাঙতে চলেছে। একাধিক অনুষ্ঠানে ঐশ্বর্য মেয়েকে নিয়ে আলাদা গিয়েছেন, এবং গোটা বচ্চন পরিবার আলাদা। আর সেসব দেখে শুনে উসকে গিয়ে জল্পনা। উঠে এসেছে জুনিয়র বচ্চন এবং নিমরত কৌরের প্রেমের জল্পনাও। তবে এতদিন এসব নিয়ে রীতিমত মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে বচ্চন পরিবার। এবার সমস্ত কিছু নিয়ে মুখ খুললেন খোদ অমিতাভ বচ্চন।
কী জানিয়েছেন অমিতাভ বচ্চন?
নাম না করে, ইঙ্গিতে উক্ত বিষয়গুলো নিয়ে নিজের ব্লগ পোস্টে জবাব দিলেন অমিতাভ বচ্চন। সেখানেই তিনি জানালেন কেন তিনি তাঁর পরিবার নিয়ে বিশেষ কিছু বলেন না। গুজবের নেপথ্যে থাকা সত্যি নিয়েও এদিন কথা বলেন শাহেনশা।
বিগ বি তাঁর এই পোস্টে এদিন লেখেন, 'প্রচণ্ড সাহস, সততা এবং ধৈর্য লাগে আলাদা হয়ে এবং সেটার জীবনে উপস্থিতির জন্য। আমি আমার পরিবার নিয়ে সেভাবে কথা বলি না। কারণ আমি এই বিষয়ে প্রাইভেসি বজায় রাখতে চাই। যা গুজব সেটা গুজবই। সেগুলো মনগড়া মিথ্যে তাও যাচাই না করে।'
তিনি এদিন আরও লেখেন, ' যাচাই করতে চান অনেকেই যাতে তাঁরা যা লিখছেন বা ছড়াচ্ছেন সেটা সঠিক হয়। তাঁরা স্বেচ্ছায় যে পেশা বেছে নিয়েছেন সেটাকে আমি চ্যালেঞ্জ করতে চাই না। আমি বরং তাঁরা যেভাবে সমাজের জন্য কাজ করছেন সেটার প্রশংসা করতে চাই। কিন্তু মিথ্যে বা কিংবা প্রশ্ন চিহ্ন দিয়ে কিছু লিখে দিলে সেটা আইনি দিক থেকে তাঁদের বাঁচিয়ে দেবে। কিন্তু যে সন্দেহের বীজ তাঁরা বপন করছেন সেটা নিয়েই আসল প্রশ্ন থেকে যায়।'
অমিতাভ আরও লেখেন, 'যা ইচ্ছে হয় লিখুন। কিন্তু প্রশ্ন চিহ্ন দেওয়ার অর্থ আপনি খাকু লিখছেন না প্রশ্নও তুলছেন। পাঠকদের সেটা বিশ্বাস করানোর পাশাপাশি সেটা নিয়ে জল্পনা বাড়াচ্ছেন। মিথ্যে বা প্রশ্ন আছে এমন কিছু দিয়ে দুনিয়াটা ভরিয়ে দিন তাতে যাকে নিয়ে লিখছেন তাঁর উপর দিয়ে যা খুশি বয়ে যাক তাতে আপনার কী? আপনি তো কাজ করে হাত ধুয়ে নিয়েছেন।'
আরও পড়ুন: যৌথ সম্মতিতেই বিবাহবিচ্ছেদের পথে সায়রা - রহমান, তবুও কি খোরপোষ নিচ্ছেন গায়কের স্ত্রী? পরিমাণ কত?
প্রসঙ্গত অমিতাভ বচ্চন ছেলে অভিষেকের জন্য শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। আগামীতে জুনিয়র বচ্চনের নতুন ছবি আসছে। ২২ নভেম্বর মুক্তি পাচ্ছে সুজিত সরকার পরিচালিত ছবিটি।