এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে জি বাংলার কার কাছে কই মনের কথা ধারাবাহিকটি। মাত্র এক মাসেই লাইমলাইট কাড়তে সফল মানালি দে-র কামব্যাক শো। এই সিরিয়ালে শিমুলের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছেন শ্রীতমা ভট্টাচার্য। শিমুলের বড় ননদের ভূমিকায় রয়েছেন শ্রীতমা। তাঁর চরিত্রের নাম পুতুল।
পুতুল এই ধারাবাহিকে ছোটবেলা থেকেই মানসিক প্রতিবন্ধী, তাঁর শারীরিক বিকাশ হলেও মানসিক বিকাশ থমকে গিয়েছে। বিশেষভাবে সক্ষম পুতুল সমাজের চোখে ‘হাবলি’। পুতুলের এই চরিত্র বারবার মনে করাচ্ছে ‘জল নূপূর’ সিরিয়ালের পারি পাগলিকে। যে ভূমিকায় দেখা মিলেছিল অপরাজিতা আঢ্যের। লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের কলম থেকে বেরিয়ে এসেছিল পারির চরিত্র, কাকতালীয়ভাবে ‘কার কাছে কই মনের কথা’ সিরিয়ালটি লীনা-পুত্র অর্ক গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রযোজনা সংস্থার।
আরও পড়ুন-Exclusive Raj Chakraborty: রকি অউর রানি বাংলায় হলে চলত না, আমরা হিপোক্রিট: রাজ
২০১৩ সালে স্টার জলসার পর্দায় সম্প্রচার শুরু হয়েছিল জনপ্রিয় সিরিয়াল জলনূপুরের। নীল-কাজলের সেই ভালোবাসার কাহিনিতে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছিল পারি পাগলির চরিত্র। অনেকেই পুতুলকে দেখে বলছে, ‘এ তো পুরো পারি পাগলির কপি পেস্ট’, কেউ লিখছেন, ‘পারি একজনই হয়, অপরাজিতার ধারে কাছেও নেই শ্রীতমা’। পুতুল চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা আর কটাক্ষ দুটোই কুড়োচ্ছেন অভিনেত্রী। এই বিষয় নিয়ে একেবারে চুপ থাকাই শ্রেয় বলে মনে করেছেন শ্রীতমা ভট্টাচার্য। কিন্তু তাঁকে নিয়ে এবার মুখ খুললেন খোদ ‘পারি পাগলি’ অপরাজিতা। সোশ্যাল মিডিয়ার এই সমালোচনা সম্পর্কে একেবারেই অবগত নন অভিনেত্রী, তিনি প্রথম কলকাতাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান- ‘না, আমার কানে এমন কিছু কথা এসে পৌঁছায়নি, তবে যদি চেষ্টা করে (পারিকে নকল করার) তাহলে খারাপ কী? আমি যেটা করেছি ও সেটা তো করবে না। ও নিজের মতোই করবে, মানুষের চোখে হয়ত মনে হচ্ছে ও কপি করেছে। ও খুব ভালো অভিনেত্রী আর খুব বুদ্ধিমতী মেয়ে। যেটা করবে সেটা নিজস্ব ধারা তৈরি করেই করবে, তাই আশা করি সেটা ভালো হবে’।

মা সিরিয়ালের একটি দৃশ্যে অপরাজিতা ও শ্রীতমা (বাঁ দিকে), অপরাজিতার বাড়ির লক্ষ্মী পুজোয় শ্রীতমা (ডান দিকে)
প্রসঙ্গত বাস্তব জীবনে শ্রীতমার সঙ্গে আজও অটুট তাঁর ‘মণিমা’ অপরাজিতার মনের বন্ধন। ‘মা’ ধারাবাহিকে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন দুজনে। রিল লাইফের সেই সম্পর্ক রিয়েল লাইফেও একইরকম। অপরাজিতা আঢ্যর বাড়ির লক্ষ্মী পুজোয় প্রতি বছরই হাজির হন শ্রীতমা। ‘মণি মা’র মুখের এহেন প্রশংসা শুনে নিঃসন্দেহে খানিত আশ্বস্ত হবেন শ্রীতমা ভট্টাচার্য।