কিছুদিন আগে পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো পাকিস্তানের সংসদে দাঁড়িয়ে সিন্ধু চুক্তি নিয়ে রণ হুঙ্কার দেন! তাঁর হুমকি ছিল,'ভারতের সামনে দুটি বিকল্প আছে: ন্যায্যভাবে জল ভাগাভাগি করা, অথবা আমরা ছয়টি নদীর সবকটি থেকে আমাদের কাছে দিকে জল নিয়ে ছাড়ব।' যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, তাঁদের দাবি না মানলে ‘আমাদের যুদ্ধ করতে হবে।’ তার জবাবে ভারতের কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘জল কোথাও যাবে না।’
এক সাংবাদিক সম্মেলেন কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী সিআর পাটিল, সিন্ধু জলচুক্তি ইস্যুতে পাকিস্তানের বর্তমান সাংসদ তথা পিপিপির নেতা বিলাওয়াল ভুট্টের যুদ্ধের হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে বলেন,' জল কোথাও যাবে না।' বিলাওয়ালের মন্তব্য সম্পর্কে তিনি বলেন,' ওটা ওঁর (বিলাওয়াল ভুট্টো) মন্তব্য হতে পারে। আমরা ফাঁকা আওয়াজে ভয় পাই না।' সিন্ধু জল বণ্টন চুক্তি নিয়ে সি আর পাটিল সাফ জানিয়ে দিয়েছেন,'সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ভারত সরকারের হাতে। যা সিন্ধান্ত হয়েছে, তাতে দেশের উপকার হবে।' উল্লেখ্য, যে সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন সিআর পাটিল, সেখানে ১১ বছরে মোদী সরকারের সাফল্যের খতিয়ান বিষয়ে তিনি আলোচনা করেন। তিনি বলেন,'প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমাদের দেশ অগ্রগতির দিকে এগোচ্ছে। দেশের সর্বস্তরের সব মানুষদের জন্য এই সরকার ভাবনা চিন্তা করে। আমাদের চাষিরা সরাসররি টাকার ট্রান্সফার পাচ্ছেন।'
( কুম্ভ, তুলা সহ একগুচ্ছ রাশিতে সমৃদ্ধির ঝড় আনছে নবপঞ্চম যোগ! সুসময় শুরু কবে?)
( ট্রুডো সরতেই খলিস্তান ইস্যুতে পাল্টাচ্ছে কানাডার নীতি? ‘কনিষ্ক বম্বিং’ নিয়ে কার্নি বললেন…)
এদিকে, সিন্ধুর জল চুক্তির বিষয়ে কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সাফ জানান, সিন্ধু জলচুক্তি পুনরায় বহাল হবে না। তারপরই আসে বিলাওয়ালের যুদ্ধের হুমকি। এদিকে, সংবাদ সংস্থা এএনআই বলছে, সিন্ধু চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তানে যে জল যেত, তা রাজস্থান, হরিয়ানা, দিল্লি, হিমাচল প্রদেশের জন্য ব্যবহার করার বিষয়ে ভাবনা চিন্তায় রয়েছে কেন্দ্র। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রক এই বিষয়ে পরিকাঠামো গঠনের কাজ শুরু করে দিয়েছে বলেও খবর। কিছুদিন আগেই অমিত শাহ বলেন,' আমরা খাল নির্মাণ করে পাকিস্তানে প্রবাহিত জল রাজস্থানে নিয়ে যাব।' এরও (আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন,' দেশের জল দেশের হিতের জন্য প্রবাহিত হবে।'