'ছায়াবাজ' ছবির প্রযোজক মণিরুল ইসলাম দাবি করেছেন, ছবির নায়ক জায়েদ খান এবং সায়ন্তিকা তাঁকে 'ফাঁসিয়েছেন।এই ছবির জন্য প্রথম কয়েকদিনের শ্যুটিংয়েই ৩৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। এই টাকা জলে গেলেও এই ছবি আমি আর করব না। আমাদের দেশের শিল্পীকে অপমান করলে কোনওভাবেই মেনে নেব না। তাতে আমার যা ক্ষতি হওয়ার হবে।’
জায়েদ-সায়ন্তিকা
'ছায়াবাজ' ছবির জন্য বাংলাদেশে শ্যুটিং করতে যাওয়ার সময় ঘটা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করেছিলেন সায়ন্তিকা। এখন সেই ছবির কাজ অথৈ জলে। ছবির প্রযোজক এবং কোরিওগ্রাফারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন সায়ন্তিকা। পাল্টা সায়ন্তিকাকে দুষেছেন ছবির প্রযোজক মণিরুল ইসলাম।
সম্প্রতি 'ছায়াবাজ' ছবির প্রযোজক মণিরুল ইসলাম দাবি করেছেন, ছবির নায়ক জায়েদ খান এবং সায়ন্তিকা তাঁকে 'ফাঁসিয়েছেন।’ এই ছবির প্রথম পর্বের জন্য ইতিমধ্যেই ৩৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে বলে দাবি প্রযোজকের ঠিক কী বলেছেন মণিরুল?
মণিরুল ইসলাম বলেন, ‘এই ছবির জন্য প্রথম কয়েকদিনের শ্যুটিংয়েই ৩৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। এই টাকা জলে গেলেও এই ছবি আমি আর করব না। আমাদের দেশের শিল্পীকে অকারণে অপমান করলে কোনওভাবেই মেনে নেব না। আজ মাইকেলকে অপমান করছে, কাল অন্য কাউকে অপমান করত। এর যতক্ষণ না সমাধান হচ্ছে আমি কাজ করব না। তাতে আমার যা ক্ষতি হওয়ার হবে।’ মণিরুল আরও বলেন, ‘আমি এই গল্পটা নিয়ে আসলে ওয়েব ফিল্ম বানাতে চেয়েছিলাম। জায়েদের কথাতেই আমি সিনেমা বানাতে শুরু করি। সব উপরওয়ালা দেখছেন, ওঁর উপরই ছেড়ে দিয়েছি।’
এদিকে কিছুদিন আগেই সায়ন্তিকার অভিযোগ ছিল, ‘ছায়াবাজের জন্য প্রথমে অন্য একজন প্রশিক্ষক নাচের শুটিংয়ে এসেছিলেন কিন্তু টাকা পয়সা নিয়ে মত-বিরোধের কারণে তিনি চলে যান। তারপর মাইকেল নামক যুবকটি আসে। মাইকেল, আমার সম্মতি ছাড়াই, আমার হাত ধরেছিল এবং আমি ওকে সবার সামনে থামিয়ে দিয়েছিলাম। আমি একজন পেশাদার শিল্পী। এভাবে কাজ করার কথা ভাবতে পারি না’।
সায়ন্তিকার কথায় ‘শ্যুটিংয়ে বার বার কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা নিয়ে প্রযোজকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি কিন্তু কোনও সাড়া পাইনি। ওঁর কোনো পরিকল্পনা নেই, ব্যবস্থাপনা নেই। অনেকবার ফোন করার পরও প্রযোজক মনিরুলের সাড়া পাইনি। আমি বলেছিলাম মাইকেলের সঙ্গে এভাবে কাজ করব না।দেশে ফেরার আগে তিনি কক্সবাজারে দুই দিন অপেক্ষা করেছিলেন, প্রযোজকের সঙ্গে কথা বলার জন্য, তবে কোনও সমাধান হয়নি।'