বৃহস্পতিবার ভোরে মুম্বইয়ের বান্দ্রায় সইফ আলি খান ও করিনা কাপুর খানের বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা করা হয়েছিল। নিজের বাড়িতে ডাকাতি আটকাতে গিয়ে ডাকাদের ছুরিকাঘাতে সইফের জখম হওয়ার খবরও ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু জানেন কি ডাকাতির ঘটনার ঠিক আগের সন্ধ্যায় কোথায় ছিলেন সইফ ঘরণী?
ডাকাতির আগের রাতে কারা এসেছিল সইফ-করিনার বাড়িতে?
বৃহস্পতিবার ভোরে মুম্বইয়ের বান্দ্রায় সইফ আলি খান ও করিনা কাপুর খানের বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা করা হয়েছিল। নিজের বাড়িতে ডাকাতি আটকাতে গিয়ে ডাকাদের ছুরিকাঘাতে সইফের জখম হওয়ার খবরও ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু জানেন কি ডাকাতির ঘটনার ঠিক আগের সন্ধ্যায় কোথায় ছিলেন সইফ ঘরণী?
বিখ্যাত পাপারাজ্জি ফটোগ্রাফার ভারিন্দর চাওলার শেয়ার করা একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে মাধ্যমে জানা গিয়েছে যে, সইফ আলি খানের বাসভবনে ডাকাত পড়ার আগে সন্ধ্যায় একটি গার্লস নাইট'-এ যোগ দিয়েছিলেন কারিনা কাপুর। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাঁর বোন কারিশ্মা কাপুর, বন্ধু সোনম কাপুর ও রিয়া কাপুর। তাঁদের নিয়েই সন্ধ্যায় আনন্দে মেতে উঠেছিলেন নায়িকা। তাঁদের ডিনারের কিছু ছবিও করিনা তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন। কিন্তু তখনও তিনি জানতেন না যে আর কয়েক ঘণ্টা পরই তাঁদের জীবনে এত ভয়াবহ একটি ঘটনা ঘটতে চলেছে।
১৫ জানুয়ারি ভোরে ঘটনাটি ঘটে। ডাকাতদের আটকাতে গিয়ে সইফ আহত হন। যখন ডাকাতরা আসে তখন সইফ এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ঘুমিয়ে ছিলেন। পরে বিষয়টা টের পেয়ে নায়ক ডাকাতদের বাধা দিতে গেলে, তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির জড়িয়ে পড়েন। সেই সময়ই সইফকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এর ফলে গুরুতর জখম হন অভিনেতা। বর্তমানে তাঁকে লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাড়ির বাসিন্দারা জেগে উঠতেই ডাকাতরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। বান্দ্রা পুলিশ স্টেশনে এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেফতারের জন্য বেশ কয়েকটি পুলিশ দল গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এক সন্দেহভাজনকে পুলিশ আটক করেছে।
বান্দ্রা ডিভিশনের ডিসিপির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, ‘এটা সত্যি। রাত আড়াইটার দিকে ডাকাতির চেষ্টার ঘটনা ঘটে। সইফ আহত হয়ে লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি, তবে গুরুতর মনে হচ্ছে না। তিনি ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন নাকি অন্য কোনোভাবে আহত হয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চও এই ঘটনার সমান্তরাল তদন্ত করছে।’
লীলাবতী হাসপাতালে সইফের চিকিৎসা করছেন সিওও ডাঃ নীরজ উত্তমণি। তিনি বলেছেন, ‘সইফের বাড়িতে একজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি দ্বারা আহত হন। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ লীলাবতীতে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। তার শরীরে ছয়টি আঘাত রয়েছে, যার মধ্যে দুটি বেশ গভীর। একটি আঘাত তার মেরুদণ্ডের কাছাকাছি। আমরা তার অপারেশন করছি। তাঁর অস্ত্রোপচার করছেন নিউরোসার্জন নীতিন ডাঙ্গে, কসমেটিক সার্জন লীনা জৈন এবং অ্যানাস্থেটিস্ট নিশা গান্ধী। অস্ত্রোপচারের পরই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।’