নিজের বাড়ির নিচেই রাখা আছে বহু পুরনো গুপ্তধন। শত শত বছর ধরে গুপ্তধন পাহাড়া দিচ্ছে যক্ষ। অনেকেই এমনটা কল্পনা করতে পছন্দ করেন। কিন্তু এই কল্পনাও যে বাস্তব হয়ে যেতে পারে, তা হয়ত কখনও ভেবে দেখেননি দম্পতি। ১০ বছর আগে কেনা পুরনো বাড়িই তাঁদের কোটিপতি বানিয়ে দিল।
আরও পড়ুন: (Fridge Tips: শীতকাল বলে ফ্রিজকে অবহেলা নয়! খেয়াল রাখুন এই জিনিসগুলি, নইলে নষ্ট হবে যন্ত্র)
ঠিক কী ঘটেছে
জানা গিয়েছে, প্রায় দশ বছর আগে ইয়র্কশায়ারে এই পুরনো বাড়িটি কিনেছিলেন ওই দম্পতি। এতদিন পর এসে তাঁরা ওই বাড়ির রান্নাঘর ঠিক করার সিদ্ধান্ত নেন। এবার মেঝে মেরামতির সময় ঘটে অবাক কাণ্ড। মেঝে খুঁড়তে গিয়ে লাগে জীবনের সবচেয়ে বড় চমক! মাত্র ছয় ইঞ্চি নিচে, তাঁরা মাটির তৈরি একটি জার দেখতে পান এবং এই জারের ভিতরেই রাখা ছিল স্বর্ণমুদ্রা। জানা যায়, এই সোনার কয়েনগুলো আগেকার দিনের ফার্নলি মাইস্টার পরিবার পুঁতে রেখেছিল। বলা বাহুল্য, শত শত বছর ধরে মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা এই গুপ্তধন ছিল ইতিহাসের এক টুকরো খুঁজে পাওয়ার মতো। বিশেষজ্ঞরা এটি দেখতে এসে বলেছিলেন যে এটির মূল্য ২৮৮,০০০ মার্কিন ডলার।
লুকনো গুপ্তধনের আসল রহস্য উদঘাটন
অনেক আগে, প্রায় ১৭০০ এর দশকের গোড়ার দিকে, জোসেফ ফার্নলি-মাইস্টার এবং তাঁর স্ত্রী সারা নামে এক দম্পতি বিশ্বাস করতেন। তাঁরা ছিলেন ধনী ব্যবসায়ী। সেই সময়ে, ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড গড়ে উঠেছিল। কাগজের টাকা ব্যবহার করা শুরু করেছিল বলেই মানুষ এই ব্যাঙ্ককে বিশ্বাস করত না। সুতরাং, জোসেফ এবং সারাও তাঁদের বেশিরভাগ অর্থ লুকিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেন, যাতে এটি নিরাপদ থাকে। এরপর তাঁরা ইয়র্কশায়ারে নিজেদের বাড়ির রান্নাঘরের মেঝেতে এটি পুঁতে ফেলেন। কয়েক বছর পর, যুগের নিয়মে জোসেফ এবং সারা মারা যান এবং তাঁদের পরিবার ধীরে ধীরে ১৭৪০-এর দশকে অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলে। তাঁরা যে স্বর্ণমুদ্রা লুকিয়ে রেখেছিলেন তা প্রায় ২৮০ বছর ধরে মাটির নিচেই পড়ে ছিল। এতদিন পর এই মুদ্রারই সন্ধান মিলল।
আরও পড়ুন: (Lifestyle Tips: ইঁদুরের বংশ সাফ হয়ে যাবে, লবঙ্গেই সমাধান, ঘরের কোণে রাখুন এভাবে)