নতুন জীবন পেলেন প্রিন্সেস ক্যাথরিন। ক্রমশ সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি। মারণ যুদ্ধে জয়ী হয়ে অনুপ্রেরণার বার্তা দিলেন ওয়েলসের প্রিন্সেস। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি আবেগঘন বার্তা শেয়ার করে তিনি জানান যে এখন তাঁর জীবনের প্রতি নতুন করে ফোকাস করার সময় এসেছে। রয়েল মার্সডেন হাসপাতাল পরিদর্শনের একটি ছবিও শেয়ার করেছেন তিনি।
চিকিৎসার পর এদিন স্বামী প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গে পশ্চিম লন্ডনের রয়্যাল মার্সডেন হাসপাতালে যান প্রিন্সেস ক্যাথরিন। তিনি প্রিন্সেস অফ ওয়েলস নামেও পরিচিত। ক্যাথেরিনের কথায়, 'গত বছর ধরে আমার এত ভালোভাবে দেখাশোনা করার জন্য আমি দ্য রয়েল মার্সডেনকে ধন্যবাদ জানাতে চেয়েছিলাম।' ক্যাথরিন তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আরও বলেন, 'এই ক্যানসার জয়ের জার্নিতে উইলিয়ামের পাশাপাশি যাঁরা আমাকে নীরবে সমর্থন করেছেন, তাঁদের সকলকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ।'
আরও পড়ুন: (Dizziness During Periods: পিরিয়ডের সময় মাথা ঘোরাটা কি স্বাভাবিক? কী বলেন ডাক্তাররা)
বলা বাহুল্য, এদিন তিনি শুধু চিকিৎসক ও কর্মীদের ধন্যবাদই দেননি, হাসপাতালের অন্যান্য রোগীদের সঙ্গেও খোশ মেজাজে কথা বলেন, তাঁদের উৎসাহ দেন। ক্যাথরিন তাঁদের সবাইকে আশ্বস্ত করে এটাও বলেন যে 'অন্ধকার টানেলের শেষে আলো আছেই এবং প্রতিটি কঠিন সময়ের পরে আরও ভাল দিন আসে।' এদিন হাসপাতালে উপস্থিত রোগীদের সঙ্গেও খোলামেলা কথা বলেন প্রিন্সেস। কেমোথেরাপির অভিজ্ঞতা কতটা কঠিন হতে পারে, সে সম্পর্কেও কথা বলতে গিয়ে বলেন, এটি একটি বড় ধাক্কা ঠিকই, কিন্তু ইতিবাচক মনোভাব থাকলে বড় পার্থক্য আসবে জীবনে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের মার্চ মাসে, প্রিন্সেস জানিয়েছিলেন যে তিনি ক্যানসারের চিকিৎসার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। এরপর সেপ্টেম্বরে কেমোথেরাপি সম্পন্ন করেন। এখন তিনি ক্যানসার মুক্ত। তাঁর ইতিবাচক চিন্তাভাবনা চিকিৎসার সময় অনেক সাহায্য করেছিল তাঁকে। তবে চিকিৎসা শেষে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসাটা এখনও তাঁর জন্য একটা মস্ত বড় চ্যালেঞ্জ। তাঁর দাবি, সুস্থ হয়ে ওঠার পর তিনি এখন আরও ক্যানসার আক্রান্তের পাশে থাকার, এই ভয়ানক জার্নিতে তাঁদের অভিজ্ঞতা যাতে ভালো হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে আগ্রহী।
আরও পড়ুন: (Child Care Tips: কোন বয়সে শিশুদের চা এবং কফি দেওয়া উচিত?)
প্রসঙ্গত, কেনসিংটন প্যালেস ঘোষণা করেছে যে এই দম্পতি এখন রয়েল মার্সডেন হাসপাতালের যুগ্ম পৃষ্ঠপোষক বা জয়েন্ট পেট্রোন। তারপরেই রয়্যাল মার্সডেন হাসপাতালে ভিজিট করেন উইলিয়াম ও ক্যাথরিন। পৃষ্ঠপোষক হিসেবে, রাজপরিবার চ্যারিটি সংস্থা এবং হাসপাতালগুলির মতো ৩,০০০ টিরও বেশি গ্ৰুপকে সহায়তা করে।