সিন্ধু জল চুক্তি আর পুর্নবহাল হবে না, এই সাফ বার্তা কিছুদিন আগেই দিয়েছিলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন,'পাকিস্তান অন্যায্যভাবে যে জল পাচ্ছে, তার জন্য ক্ষুধার্ত থাকবে।' এরপরই এল পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী তথা সাংসদ বিলাওয়াল ভুট্টোর যুদ্ধের হুমকি। পাকিস্তানি সংসদে দাঁড়িয়ে বিলাওয়াল এই সিন্ধু চুক্তি নিয়ে সাফ যুদ্ধের রাস্তায় হাঁটার হুমকি দেন।
বিলাওয়াল বলছেন, ৬ নদীর জল কেড়ে নেওয়ার কথা! তাঁর সাফ বার্তা, যদি ভারত সিন্ধুর জল না দেয়, তাহলে তারা যুদ্ধের পথে হাঁটবেন। উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার পরই ভারত পাল্টা কূটনৈতিক পদক্ষেপে পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি বাতিল করে। আর তা নিয়ে সদ্য ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দিল্লির অবস্থান স্পষ্ট করে দেন। অমিত শাহ বলেন,' আমরা খাল নির্মাণ করে পাকিস্তানে প্রবাহিত জল রাজস্থানে নিয়ে যাব।' সাফ জানিয়ে দেন সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি পুনরায় বহাল হবে না। এরপরই পাকিস্তানের সংসদ থেকে হুঁশিয়ারের সুরে পাকিস্তান পিপল পার্টির নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো বলেন,' ভারতের সামনে দুটি বিকল্প আছে: ন্যায্যভাবে জল ভাগাভাগি করা, অথবা আমরা ছয়টি নদীর সবকটি থেকে আমাদের কাছে দিকে জল নিয়ে ছাড়ব।' তিনি বলেন,'সিন্ধু (সিন্ধু নদী) উপর আক্রমণ এবং ভারতের দাবি যে সিন্ধু জল চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে, এবং এটি স্থগিত রয়েছে… প্রথমত, এটি অবৈধ, কারণ আইডব্লিউটি স্থগিত নেই, এটি পাকিস্তান এবং ভারতের জন্য বাধ্যতামূলক, জাতিসংঘের সনদ অনুসারে জল বন্ধ করার হুমকি অবৈধ।'পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রধান বিলাওয়াল হুমকিও দিয়েছেন যে, ভারত যদি হুমকি অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে 'আমাদের আবার যুদ্ধ করতে হবে।' তিনি সন্ত্রাস নিয়েও ভারতের দিকে থোপ দাগেন। তিনি বলেন, ‘ যদি ভারত ও পাকিস্তান আলোচনায় অস্বীকৃতি জানায় এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যদি কোনও সমন্বয় না হয়, তাহলে উভয় দেশেই সহিংসতা আরও তীব্র হবে।’
( সেন্ট মার্টিন নিয়ে এক ‘মাস্টারপ্ল্যান’র ভাবনায় ইউনুস সরকার! উপদেষ্টা বললেন…)
এদিকে, সদ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে মনোনীত করে পাকিস্তান। তার পরদিনই ইরানের বুকে মার্কিন হামলা আমেরিকা। এই ঘটনায় পাকিস্তানের অভ্যন্তরেই তীব্র চাপে পড়েছে শেহবাজ সরকার। ‘দ্য ডন’এর রিপোর্ট অনুযায়ী, শেহবাজদের বিরোধী দল ইমরানের পিটিআই সহ বেশ কিছু পাক সেনেটার এই বিষয়ে সরব হয়েছেন। এদিকে, ইরানে হামলা নিয়ে পাকিস্তান আমেরিকার নিন্দাও করেছে। যে ঘটনার কিছুদিন আগেই, পাকিস্তানি সেনাপ্রধান আসিম মুনির গিয়েছিলেন আমেরিকায়, সেখানে ট্রাম্পের সঙ্গে তিনি মধ্যহ্নভোজ করেন। তারপরই পাকিস্তানের প্রতিবেশী ইরানে হামলা চালায় আমেরিকা।