'গত মাসে ৩০,৩০৩ জন যাত্রী টয় ট্রেনে যাত্রা করেছিলেন। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে(DHR) চালু হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত এটিই এক মাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক যাত্রী। এর ফলে গত এক মাসে ৩.৫৭ কোটি টাকা উপার্জন হয়েছে,' জানালেন DHR পরিচালক প্রিয়াংশু।
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে (DHR) ইউনেস্কোর স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এক আন্তর্জাতিক ঐতিহ্যবাহী স্থান। টয় ট্রেনে দার্জিলিং থেকে ঘুমের মধ্যে যাত্রা এমনিতেই পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয়। কিন্তু বর্তমানে রাজ্যের পর্যটন দফতরের প্রচেষ্টা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয়তার দৌলতে পাহাড়প্রেমীদের 'বাকেট লিস্টে' স্থান করে নিয়েছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে।
চলতি বছর মে মাসে, এই পাহাড়ি রেলপথে রেকর্ড সংখ্যক যাত্রী সফর করেছেন। ১৮৮১ সালের পর থেকে এই প্রথম কোনও এক মাসে এত বিপুল সংখ্যক যাত্রী 'টয় ট্রেনে' যাত্রা করেছেন।
'গত মাসে ৩০,৩০৩ জন যাত্রী টয় ট্রেনে যাত্রা করেছিলেন। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে(DHR) চালু হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত এটিই এক মাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক যাত্রী। এর ফলে গত এক মাসে ৩.৫৭ কোটি টাকা উপার্জন হয়েছে,' জানালেন DHR পরিচালক প্রিয়াংশু।
সূত্রের খবর, এর আগে সর্বোচ্চ যাত্রী সংখ্যা উঠেছিল গত বছরের মে মাসে। সেই মাসে ২৬,৯০৯ জন যাত্রী টয় ট্রেনে চড়েছিলেন। 'সেইবারে ৩.১৯ কোটি টাকা আয় হয়েছিল,' জানালেন DHR আধিকারিক।
অন্যদিকে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে শিলিগুড়ির কাছে জুওলজিক্যাল পার্কেরও জনপ্রিয়তা বেড়েছে। 'আমরা চলতি অর্থবর্ষে (২০২২-২৩) ৫.৬৫ কোটি টাকা আয় করেছি। এটিই আগের অর্থবর্ষে (২০২১-২২) ছিল ১.৭৬ কোটি টাকা। অর্থাত্, অনেকটাই আয় বৃদ্ধি পেয়েছে,' জানালেন পার্কের সহকারী পরিচালক রাহুলদেব মুখোপাধ্যায়।
গত বছরের এপ্রিল থেকে চলচি বছরের মার্চ পর্যন্ত, পার্কে ২.৮৭ লক্ষ পর্যটক এসেছেন। এটি আগের বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশি।
সাধারণত, সাফারির জন্য ১০টি ২২ সিটের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস ব্যবহার করা হয়। 'রবিবার, আমাদের সাফারির জন্য অতিরিক্ত বাসের ব্যবস্থা করতে হয়েছিল,' জানালেন রাহুলদেব মুখোপাধ্যায়।